কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। প্রতীকী ছবি।
ভারতে গড়ে প্রতি বছর উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত হন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, শহরে ২৫-৩০ শতাংশ মানুষ এবং গ্রামে প্রায় ১৫-২০ শতাংশ মানুষের উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে। ফলে উচ্চ কোলেস্টেরল বা হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া জনমানসের কাছে একেবারে অপরিচিত বিষয় নয়। এই রোগে রক্তপ্রবাহে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দেখা যায়। এই বাড়তি কোলেস্টেরল রক্ত প্রবাহের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা দেয়। হৃদ্যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া লিপিড ডিজঅর্ডার বা হাইপারলিপিডেমিয়া নামেও পরিচিত।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। নয়তো এর হাত ধরেই আরও অনেক রোগের জন্ম হতে পারে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে। ওষুধের উপর ভরসা রাখা ছাড়াও রোজের খাওয়াদাওয়াতেও আনতে হবে বদল। কারণ কোলেস্টেরল থাকলে বেশ কিছু খাবার খাওয়া যায় না। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন?
উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রাও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে মিষ্টি খেলে। ছবি: সংগৃহীত
ডিম
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাক কিংবা কম, এই রোগ এক বার শরীরে বাসা বাঁধলে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দিন। ডিম এমনিতে স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। ডিমে থাকা অসংখ্য পুষ্টিগুণ যে শরীরের যত্ন নেয়, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ডিমে রয়েছে ভরপুর কোলেস্টেরলও। একটা ডিমে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। তাই কোলেস্টেরল রোগীরা ডিম এড়িয়ে চলুন।
তেলেভাজা
শরীর সুস্থ রাখতে এমনিতেই তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কোলেস্টেরল থাকলে সেই বিধিনিষেধ আরও কঠোর ভাবে পালন করা জরুরি। ডুবো তেলে ভাজা যে কোনও খাবার কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সুস্থ থাকতে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
মিষ্টি
মিষ্টির স্বাদে মন ভাল থাকলেও শরীর ভাল থাকবে কি? মিষ্টি যে শুধু ডায়াবিটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, তা কিন্তু নয়। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রাও এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যেতে পারে মিষ্টি খেলে। দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করুন।