দাঁতের ফাঁকে খাবারের টুকরো ঢুকে সেখান থেকে দাঁতে সংক্রমণ হলে সেখান থেকেও যন্ত্রণা হয়। ছবি- সংগৃহীত
সারা দিন তেমন কিছু টের পাননি। রাতে শেষপাতে আইসক্রিম খাওয়ার পর হঠাৎ দাঁতের ব্যথা শুরু। জল খেয়ে, গরম জলে মুখ কুলকুচি করেও ব্যথা কমছে না। এ দিকে বাড়িতেও ব্যথা কমানোর কোনও ওষুধ নেই। চিকিৎসকদের মতে, দাঁতে ব্যথা নানা কারণে হতে পারে। কখনও দাঁতের স্নায়ুর মুখগুলি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। তখন ঠান্ডা বা গরম খাবার খেলে দাঁত ঝনঝন করতে পারে। সেখান থেকে যন্ত্রণারও উদ্রেক হয়। দাঁতের ফাঁকে খাবারের টুকরো ঢুকে সেখান থেকে দাঁতে সংক্রমণ হতে পারে। সেখান থেকেও যন্ত্রণা হয়। এ ছাড়া অতিরিক্ত অ্যাসিডিটির ফলে দাঁত ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকলেও যন্ত্রণা হতে পারে। এমন যন্ত্রণার চোটে ঘুমোনোই মুশকিল হয়ে যায় অনেকের পক্ষে। তবে ঘরোয়া কিছু টোটকা রয়েছে, যা দিয়ে এমন দাঁতের ব্যথা কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখা যায়।
১) লবঙ্গ
ওষুধের দোকানে লবঙ্গের তেল কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বাড়িতে যদি তা না থাকে, সে ক্ষেত্রে লবঙ্গ থেঁতো করে বা শিলে বেটে দাঁতের গোড়ায় দিয়ে রাখতে পারেন। লবঙ্গের প্রাকৃতিক তেল ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২) মাথা উঁচু করে রাখা
রাতে শোয়ার সময় দু’টি বালিশের সাহায্যে মাথা উঁচু করে রাখতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময় মাথা বা মুখের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত সঞ্চালন কিছুটা ব্যাহত করতে পারলে দাঁতে যন্ত্রণা কমতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন, এই তেল যেন মুখের অন্য কোথাও না লাগে। সে ক্ষেত্রে মুখের ভিতর জ্বালা করতে পারে।
লবঙ্গের প্রাকৃতিক তেল দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ছবি- সংগৃহীত
৩) মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়া
রাতে শুতে যাওয়ার আগে খুব ঠান্ডা বা খুব গরম, শক্ত, মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই জাতীয় খাবার থেকে দাঁতের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এ ছা়ড়াও যে সব খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হওয়ার প্রবণতা বাড়ে, সেই সব খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকা উচিত।
৪) নুন-হলুদ জলে কুলকুচি
দাঁতে বা মাড়িতে কোনও সংক্রমণ হলে রাতে খাবার পর উষ্ণ জলে নুন এবং হলুদ মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। অনেক সময়ে দেখা যায় খাওয়ার পর দাঁতের ফাঁকে খাবারের টুকরো থেকে সেখানে সংক্রমণ হয়। এবং তা থেকেই দাঁতের যন্ত্রণা হয়। তাই মুখের স্বাস্থ্য উন্নত করতে এই টোটকা কাজে আসতে পারে।
৫) খাবার পর দাঁত মাজা
দাঁত মাজার কোনও বিকল্প নেই। যত বার খাবার খাবেন, তত বার দাঁত মাজতে পারলে ভাল। তবে একান্ত উপায় না থাকলে দিনে তিন বার দাঁত মাজতেই হবে।