Allergies In Children

বর্ষার মরসুমে শিশুদের অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে, কী ভাবে সুস্থ রাখবেন সন্তানকে?

ইদানীং শিশুকে রোগমুক্ত রাখতে মা-বাবারা বড্ড বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেন। যার ফলে, শিশুদের শরীরে ‘ইমিউনিটি সিস্টেম’ ঠিক মতো কাজই করে না। তাই সবার আগে দরকার ওদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ১২:২৩
Share:

শিশুদের অ্যালার্জির সমস্যা দূর করবেন কী করে? ছবি: শাটারস্টক

একেবারে ছোট বয়স থেকে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত যে কোনও সময়ে ত্বকে অ‍্যালার্জির সমস‍্যা দেখা দিতে পারে শিশুদের। প্রথম দিকে অনেক ক্ষেত্রে আসল সমস‍্যা ধরা পড়ে না। তবে কয়েকটি উপসর্গ জানান দেয় যে, শিশু অ্যালার্জির সমস্যায় আক্রান্ত। সেগুলি কী? শিশুর ত্বকে যদি ধারাবাহিক ভাবে ফুসকুড়ি, চুলকানির সমস্যা চলতেই থাকে, তা হলে সতর্ক হোন। এ ছাড়াও ক্রমাগত হাঁচি বা শ্বাসকষ্ট হলেও সতর্ক থাকতে হবে । বাড়িতে কারও যদি অ্যালার্জি থাকে, তা হলে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান।

Advertisement

বর্তমানে শিশুকে রোগমুক্ত রাখতে মা-বাবারা বড্ড বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেন। যার ফলে, শিশুদের শরীরে ‘ইমিউনিটি সিস্টেম’ ঠিক মতো কাজই করে না। খুব সহজেই শিশুরা নানা ধরনের ‘অ্যালার্জি অ্যাটাক’-এর শিকার হয়। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তাদের শরীরে তৈরিই হয় না।

অ্যালার্জির রকমফের রয়েছে। অ্যালার্জির কিছু উৎস ঘরের ভিতরেই রয়েছে, অন্যগুলি বাইরে। সারা বছরই ঘরে জমা ধুলো, কোনও বিশেষ খাবার, আরশোলা জাতীয় প্রাণীর সংস্পর্শে অ্যালার্জি আক্রান্ত হতে পারে শিশু। তার প্রিয় পোষ্যের লোম থেকেও ছড়াতে পারে অ্যালার্জি। এ ছাড়া বাতাসে ভাসমান ফুলের রেণু, ধূলিকণা থেকে অ্যালার্জির কোপে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন খাবার থেকেও শিশুদের অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দুধ, ডিম, বাদাম, চিংড়ি, কাঁকড়ার মতো খাবার থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।

Advertisement

অনেকের ধারণা, অ্যালার্জি হলে শুধু ত্বকে র‍্যাশ বের হয়। এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। চিকিৎসকদের মতে, অ্যালার্জির নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন সর্দিজ্বর আসতে পারে আপনার শিশুর। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘হে ফিভার’। হতে পারে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। অনেকের সমস্যা দেখা দেয় শুধু চোখে।

তবে সামান্য সতর্ক থাকলে আপনার শিশুকে অ্যালার্জি থেকে বাঁচাতে পারেন আপনিই। জানুন কয়েকটি পদ্ধতি—

  • বাড়িতে কোনও পোষ্য থাকলে, শুরু থেকে অবশ্যই তার সঙ্গে খেলতে দিন শিশুদের। এর ফলে শিশুর শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি হবে।
  • শিশু যেন বিকেলে খোলা মাঠে বেড়ানোর বা দৌড়ঝাঁপ করে খেলার সুযোগ পায়। অযথা তাকে বাড়িতে বসিয়ে রাখবেন না।
  • ছোট থেকেই সব ধরনের খাবার, ফল ও সব্জি খাওয়ানো অভ্যাস করান শিশুকে। বয়স বাড়লে ফর্মুলা দুধের বদলে গরুর দুধ খাওয়ান খুদেকে। এর ফলে, খাদ্যজাত অ্যালার্জির হাত থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবে সে।
  • অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মা ভিটামিন ডি সেবন করলে শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জির প্রবণতা কম হয়। শিশুদের জন্মের পর থেকেই মায়ের বুকের দুধ অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে অনেক ধরনের অ্যালার্জির হারই কমে যায় শিশুদেহে।
  • শিশুদের কাছাকাছি কোনও ভাবেই ধূমপান উচিত নয়। এমনকি, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মা-কেও ধূমপান না করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলেও অ্যালার্জির সমস্যা হয়।
  • ছোট থেকেই শিশুকে বেশি করে জল খাওয়ার অভ্যাস করান। খাবারে আদা, গোলমরিচ, হলুদের মতো মশলার ব্যবহার বেশি করে করুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement