ঘুম হচ্ছে না ঠিকঠাক, বুঝবেন কী দেখে? ছবি: শাটারস্টক।
কাজ শেষ করার ডেডলাইন, অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক টানাপড়েনের জন্য অনেকেই অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে অনিদ্রাজনিত অন্যান্য অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। কেউ কেউ আবার পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরেও সারা ক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করেন। এমন হওয়াটাও কিন্তু স্বাভাবিক নয়। একটি দীর্ঘ আরামদায়ক ঘুমের পরেও যদি সারা ক্ষণ ঝিমুনি আসে, ক্লান্ত লাগে, সে ক্ষেত্রে চিন্তার যথেষ্ট বিষয় রয়েছে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ‘স্লিপিং ডিসঅর্ডার’ বলা হয়। আপনিও কি ‘স্লিপিং ডিসঅর্ডার’-এ ভুগছেন? কোন লক্ষণগুলি দেখে তা বুঝবেন?
দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া, সারা ক্ষণ ক্লান্তিবোধ, মাঝরাতে ঘুমের মাঝে জেগে ওঠা, এক বার ঘুম ভেঙে গেলে দীর্ঘ ক্ষণ ঘুম না আসা, দিনের যে কোনও সময় প্রবল ঘুম পাওয়া, জোরে জোরে নাক ডাকা— ঘুম সংক্রান্ত এই সমস্যাগুলি দেখা দিলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া আর কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজন?
১) সারা ক্ষণ ভাজাভুজি খেতে মন চাইছে? অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি ঝোঁক ঘুম ঠিক মতো না হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
২) পর্যাপ্ত জল খেলেও শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে? অস্বস্তিবোধ, সারা ক্ষণ জল তেষ্টা পাওয়াও কিন্তু ভাল লক্ষণ নয়। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে এমনটা হতে পারে।
কেউ কেউ আবার পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও সারা ক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করেন। ছবি: শাটারস্টক।
৩) হঠাৎ সব কিছু ভুলে যাচ্ছেন? ঘুমের সমস্যা হলে কিন্তু এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক হোন। অনেক ক্ষেত্রে কোনও কারণ ছাড়াই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, মাথার যন্ত্রণাও ঘুমের অসুখের লক্ষণ হতে পারে।
৪) ঘুম ঠিকঠাক না হলে কিংবা মানসিক চাপ খুব বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে পেটের উপরেও। ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, পেটে ব্যথা, হজমে অসুবিধার মতো সমস্যা হলে বুঝতে হবে, শরীরের বিশ্রাম চাই।
৫) ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছেন? জ্বর, সর্দি-কাশি মাঝেমধ্যেই কাবু করছে? ঘুমের অভাব হলে কিন্তু শরীরের প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়, তাই শরীরে ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া সহজেই হানা দিতে পারে। তাই সতর্ক হোন।