রক্ত পরীক্ষা করানোর আগেই বুঝে যাবেন কোলেস্টেরল বেড়েছে কি না? ছবি: শাটারস্টক।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে শুনলেই বেশির ভাগ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়! কোলেস্টেরল বাড়লেই যে হৃদ্রোগেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়! অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা ক্রমাগত বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলিই একটা সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। শরীরে রক্ত চলাচল করতে বাধা পায়, শুরু হয় নানা সমস্যা। শরীরে কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লে তার লক্ষণ ধরা পড়ে বিভিন্ন অঙ্গে। আগে থেকেই সাবধান হলে, কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, কমানো যায়, হৃদ্রোগের ঝুঁকিও। জেনে নিন কোন উপসর্গগুলি দেখলে সতর্ক হবেন।
১) অল্প হাঁটলেই পা যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে? মাঝেমাঝেই পা অবশ হয়ে যাচ্ছে? এই উপসর্গ কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে মেদ জমার ফলে হৃদ্যন্ত্রের ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়। ফলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। বিশেষ করে দেহের নীচের অংশে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। ঝিঁঝি ধরার মতো লক্ষণ দেখা যায়।
২) চোখের চারপাশে ছোট ছোট মাংসপিণ্ড জমছে কি না খেয়াল করুন। সাদা বা হলদে রঙের ছোট ছোট দানা চোখের চারপাশে ভরে উঠলেই বুঝবেন, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে।
৩) কোলেস্টেরল বাড়লে তার প্রভাব পড়ে নখেও। নখের জেল্লাও হারিয়ে যায়, নখ হলদেটে হয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রেই নখের নীচের দিকে কালচে কিংবা বাদামি রঙের রেখাও চোখে পড়ে।
৪) জিভ দেখেও বোঝা যায় শরীরে কোলেস্টেরল বাসা বেঁধেছে কি না। এ ক্ষেত্রে জিভের উপর বিবর্ণ ছোট ছোট দানা বার হয়। ছোট ছোট দানার মতো আস্তরণ যখন সারা জিভে ছড়িয়ে পড়ে এবং রং পরিবর্তন করে তখন সেই লক্ষণ উপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫) শরীরের আনাচকানাচে মেদ জমাও কিন্তু উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে তলপেটে মেদ জমতে শুরু করলেও সচেতন হতে হবে বইকি।