জিমে যাওয়ার আগে কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন? ছবি: শাটারস্টক
গরমে শরীর সুস্থ রাখার মূলমন্ত্র হল বেশি করে জল খাওয়া। তীব্র গরমে শরীরে জলের ঘাটতি হলেই মুশকিল। জল শুধু শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে তা-ই নয়, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রকে সুসংগঠিত রাখতেও জলের কোনও তুলনা নেই। শরীরে জলের অভাব হলে শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয়। সেই লক্ষণগুলি চিনতে পারলেই বোঝা যাবে যে, এখন শরীরে জলের অভাব মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) শরীরে জলের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। গরমে হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ হয়ে গেলে এবং ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে জলের ঘাটতি রয়েছে।
২) যদি হঠাৎ প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রেও বুঝতে হবে শরীরে জলের অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে জলের ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়।
৩) জলের অভাবে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হয়। জল মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। যা নিশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
মাইগ্রেনের ব্যথা অনেক সময় ডিহাইড্রেশন থেকেই শুরু হয়। ছবি: শাটারস্টক
৪) ডিহাইড্রেশন হলে শরীরের মাংসপেশিগুলিতেও জল পৌঁছয় না। তাই চট করে হাত-পায়ে টান লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। জিমে গিয়ে শরীরচর্চার সময়, হাঁটার সময় বা দৌড়নোর সময় কিংবা ওঠাবসার সময়ে মাঝেমধ্যেই টান লাগে। এই উপসর্গ দেখলে কিন্তু জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
৫) মাইগ্রেনের ব্যথা অনেক সময় ডিহাইড্রেশন থেকেই শুরু হয়। তাই সারা ক্ষণ মাথা ধরে থাকলে বড় এক গ্লাস জল খান।