খাবার থেকে যে সব রোগ হয়, তার একটা বড় অংশই জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়াঘটিত। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই হবে না, খাবারের মান, পরিচ্ছন্নতার উপরেও নজর দিতে হবে। অথচ পরিচ্ছন্নতা বা ‘ফুড সেফটি’ নিয়ে বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই সচেতনতার অভাব রয়েছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, খাবার থেকে যে সব রোগ হয়, তার বেশির ভাগই জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়াঘটিত। তাই মাছ-মাংস, কাঁচা সব্জি কেনা থেকে বাড়িতে রান্না করা পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে আলাদা করে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। রাস্তার ধারে ছোটখাটো দোকান বা রেস্তরাঁগুলিতেও এই বিষয়ে তেমন সচেতনতা দেখা যায় না। তাই বাজারে গিয়ে কাঁচামাল কেনা থেকে বাড়িতে এনে রান্না করা পর্যন্ত কিছু জরুরি বিষয় মাখায় রাখা জরুরি।
রাস্তার ধারের দোকানগুলিতে এই বিষয়ে তেমন সাবধানতা অবলম্বন করা হয় না। ছবি: সংগৃহীত।
১) পরিচ্ছন্নতা
যেখানে রান্না করছেন, সেই জায়গাটি অর্থাৎ, হেঁশেলের পরিচ্ছন্নতার উপরেও ভাল থাকা নির্ভর করে। পাশাপাশি, সব্জি, কাঁচা বাজার ভাল করে ধোয়া হচ্ছে কি না— তা-ও খেয়াল করতে হবে।
২) ভাগ করে রাখা
খাবারে সংক্রমণ রুখতে কাঁচা এবং রান্না করা খাবার আলাদা করে রাখতে হবে। ধোয়ার পর মাছ-মাংস থেকে রক্তরস যেন ফ্রিজের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে, সে দিকেও নজর রাখা জরুরি।
৩) সঠিক তাপমাত্রা
কাঁচা খাবার সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করলে জীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়া মরে যায়। আবার কোনও কোনও খাবার অতিরিক্ত তাপে পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলে। তাই রান্নার ক্ষেত্রে সঠিক তাপমাত্রা থাকা জরুরি।
৪) সংরক্ষণ
যে সব খাবার তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, তা সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে আলাদা ব্যবস্থা থাকে ফ্রিজের মধ্যে। তাই কাঁচা মাছ, মাংস সব সময়ে ফ্রিজারে রাখার চেষ্টা করুন।
৫) বেঁচে যাওয়া খাবার
খাবার থেকে হওয়া ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগ সামাল দিতে বেঁচে যাওয়া খাবার কী ভাবে সংরক্ষণ করবেন, তা-ও জেনে নেওয়া জরুরি। গরম করা খাবার ঠান্ডা না করে ফ্রিজে তোলা, খাবার বেশি দিন ফ্রিজে রাখার অভ্যাস ছাড়তে হবে।