তেঁতুলের গুণেই হবে স্বাস্থ্য ভাল হবে । ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর কেনাকাটা করতে গিয়ে গড়িয়াহাট কিংবা দক্ষিণাপনের সামনে ভিড় ঠেলে ফুচকার লাইনে দাঁড়াবেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ফুচকার আসল মাহাত্ম্য তার টক জলে। তবে অনেকেই অম্বলের ভয়ে টক জল ছাড়াই ফুচকা খান। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, তেঁতুল গোলা ফুচকার টক জলের স্বাদ বাড়িয়ে তোলার জন্য তার মধ্যে মেশানো হয় নানা রকম মশলা, নুন এবং লঙ্কা গুঁড়ো। এই সব উপাদানের গুণে টক জল আরও সুস্বাদু হয়ে ওঠে। তবে এই জলের মধ্যে পুষ্টিগুণ তেমন নেই বললেই চলে। কিন্তু শুধু তেঁতুলের ক্বাথ শরীরের নানা উপকারে লাগে। দক্ষিণী রান্নায় তেতুঁল গোলা জল দেওয়ার প্রচলন হয়তো সেখান থেকেই।
তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
১) ভিটামিন এবং খনিজের জোগান দেয়
তেঁতুলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন এবং নায়াসিনের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। পাশাপাশি রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ। তাই নিয়মিত তেঁতুল খেতে পারলে শরীরে এই সব ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি হয় না।
২) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট
তেঁতুলে রয়েছে পলিফেলন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন প্রকার মারণব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়।
৩) হার্ট ভাল রাখে
তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত তেঁতুল খেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) হজমে সহায়তা করে
তেঁতুলে রয়েছে টারটারিক অ্যাসিড। তাই আপাত ভাবে দেখতে গেলে এই অ্যাসিড শরীরে অম্লত্বের ভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে তেঁতুল খেলে তা হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা— দুই প্রতিরোধ করতে পারে। পাশাপাশি, অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল রাখতে সাহায্য করে তেঁতুল।
৫) প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম জলে তেঁতুল আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যেগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।