কী কী খেলে খুদের স্মৃতিশক্তি বাড়বে? ছবি: শাটারস্টক
সকলেই চান তাঁর সন্তান তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও মেধাবী হোক। তাই শিশুর মগজাস্ত্রে শানের পাশাপাশি তার ডায়েটের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের প্রায় সার্বিক গঠন ও বিকাশ সম্পন্ন হয়। এই বয়সে খাদ্যতালিকায় কোন কোন খাবার বেশি মাত্রায় রাখলে আপনার শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হতে পারে, রইল তার হদিস।
১) ডিম: সুষম খাদ্য হিসাবে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ কোলিন। কোলিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই দিনে একটা করে ডিম রাখতে পারেন খুদের ডায়েটে।
২) ওট্স: ওট্সে থাকে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম ও জিঙ্কের মতো উপাদান। এই উপদানগুলি মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য বেশ লাভজনক। তাই শিশুর ওট্স খাওয়া শিশুদের পক্ষে বেশ স্বাস্থ্যকর। ওট্স খেতে অনেক শিশুই পছন্দ করে না, তাই ওট্সের চিলা, কুকিজ়, কেক, স্মুদি করে তাদের খাওয়ানো যেতে পারে।
শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুদেকে রোজ সকালে জলে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়াতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক
৩) রঙিন সব্জি: টম্যাটো, রাঙা আলু, কুমড়ো কিংবা গাজরের মতো সব্জিতে অন্যান্য জরুরি উপাদানের সঙ্গেই থাকে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান। এই উপাদানটি একাধিক স্নায়ু ভাল রাখতে সহায়তা করে। বিশেষত চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ক্যারোটিনয়েড অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। মস্তিষ্কের বিকাশে রোজের খাবারে শাকপাতা রাখতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। এ ক্ষেত্রে ব্রাহ্মী শাক ভীষণ উপকারী।
৪) দুধ: দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যও শিশুদের মস্তিষ্কের কোষের গঠন ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুধে থাকে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করতে ও স্নায়ুকোষের আয়ু বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৫) বাদাম: শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুদেকে রোজ সকালে জলে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়াতে পারেন। এতে ভরপুর মাত্রায় মোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। এতে থাকা লুটিন যৌগ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।