ডালজাতীয় শস্যে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। ছবি: সংগৃহীত
বেশির ভাগ বাঙালি বাড়িতে রোজের ভাতের পাতে থাকে মুগ কিংবা মুসুর ডাল। লুচি হলে তবেই সঙ্গে আসে ছোলার ডাল। আর বিশেষ কোনও দিনে মাঝেমধ্যে মটর, বিউলি কিংবা অড়হর ডাল রান্না হয়। রাতে রুটির সঙ্গে আবার জমে যায় ডিম তরকা! ডাল ছাড়া আমাদের খাওয়া হয় না! তবে অনেকেই আছেন যাঁরা দিনে তিন বেলাই ডাল খেতে পছন্দ করেন। ভাবেন শরীরে এই উপায় প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করা যাবে। পুষ্টিবিদদের মতে, কোনও কিছুই বেশি পরিমাণে খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়। বেশি মাত্রায় ডাল ও দানাশস্য খেলে শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) ডালজাতীয় শস্যে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। ফাইবার ডায়েটে রাখা ভাল, যা হজমশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু বেশি মাত্রায় ফাইবার খেলে আবার বিপদ। মাত্রাতিরিক্ত ফাইবারের কারণে পেটের গোলমাল, আমাশার মতো সমস্যা হতে পারে।
২) ডালে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার দুই-ই থাকে। ডালজাতীয় শস্য বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে জলের চাহিদা বেড়ে যায়। আর সেই পর্যাপ্ত জল না পেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়।
প্রতীকী ছবি
৩) অনেকেই মনে করেন, ডাল খেলেই শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। বিশেষত যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁরা ডালের মাধ্যমেই শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করেন। তবে ডালজাতীয় শস্যে সম্পূর্ণ প্রোটিন থাকে না। এতে মিথিওনাইন নামক প্রোটিন থাকে না। তাই শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করতে কেবল ডালের ভরসায় থাকতে হবে না।
৪) দানাশস্য থেকে অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা হয়। অল্প মাত্রায় খেলে শরীরে ততটা খারাপ প্রভাব পড়ে না। কিন্তু খুবে বেশি মাত্রায় খেলেই বিপদ!
৫) যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ডায়েটে খুব বেশি ডাল না রাখাই ভাল। এতে মাইগ্রেনের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।