রোজ মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস কোন রোগ ডেকে আনে? ছবি: শাটারস্টক
অনেকের মতে, রান্নায় সামান্য মিষ্টি না পড়লে স্বাদ হয় না। দিনটা শুরু হয় চিনি দেওয়া এক কাপ চা থেকে, তার পর টিফিনে আম-দই মাখা, তাতেও চাই চিনি। দুপুরে খাবার পর একটা মিষ্টিমুখ না করলে পেট যেন ভরেও ভরে না। তার উপর বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ তো লেগেই রয়েছে। উৎসব কি মিষ্টি ছাড়া সম্পূর্ণ হয়!
সিগারেট যেমন শরীরের ক্ষতি করে, অতিমাত্রায় চিনি খেলেও কিন্তু তেমনই ক্ষতি হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হয়ে গেলে ধমনীর উপর তার প্রভাব পড়ে। ধমনীর প্রাচীরগুলি পুরু আর শক্ত হয়ে যায়, ফলে হৃদ্যন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। তাই হার্টের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে আর কী কী ক্ষতি হয় শরীরের?
১) ওজন কমানোর ডায়েটে সবার আগে পুষ্টিবিদেরা চিনি কম খাওয়ার কথা বলেন। একেবারে বন্ধ করে দিতে পারলে আরও ভাল। ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া, শরীরের আনাচ-কানাচে মেদ জমার অন্যতম কারণ কিন্তু অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা।
২) নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করলেও অনেকের ব্রণের সমস্যা কিছুতেই কমতে চায় না। সে ক্ষেত্রে এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখতে পারেন। ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া, শরীরের আনাচ-কানাচে মেদ জমার অন্যতম কারণ কিন্তু অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কম বয়সেই ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে শুরু করেছে? এ-ও কিন্তু অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফল হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে সেগুলি কোলাজেন প্রোটিনকে ধ্বংস করতে শুরু করে। এ কারণে চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল।
৪) অতিরিক্ত চিনি খাওয়া কিন্তু দাঁতের পক্ষেও একেবারে ভাল না। অল্প বয়স থেকেই অনেকে দাঁতের নানা রকম সমস্যায় ভোগেন। এর কারণও হতে পারে অত্যিক মাত্রায় চকোলেট, মিষ্টি, কেক-পেস্ট্রি খাওয়ার প্রবণতা।
৫) সারা দিল অলস ভাব? কাজে মন বসে না? এর পিছনেও কারণ হতে পারে অত্যধিক মাত্রায় চিনি খাওয়া। চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হয় ঠিকই, কিন্তু সেটা সাময়িক। চিনিতে সে ভাবে কোনও পুষ্টিগুণ থাকে না। ফলে শরীর কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার ক্লান্ত হয়ে পড়ে।