স্বাস্থ্যসচেতনদের ডায়েটে কেন বাড়ছে অ্যাভোকাডোর হাতছানি? ছবি: শাটারস্টক।
অ্যাভোক্যাডো উৎপত্তিগত ভাবে মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার একটি ফল। তবে এখন আমাদের দেশেও এই ফল ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশেষত স্বাস্থ্যগুণের জন্য অনেকেই নিয়মিত খাচ্ছেন এই ফল। অ্যাভোক্যাডোর মধ্যে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ফলের মধ্যে ফ্যাট জাতীয় উপাদান থাকা কিন্তু বেশ বিরল। তা ছাড়াও অ্যাভোক্যাডোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি-উপাদান। স্বাদ তেমন না হলেও এই ফলের দাম কিন্তু আকাশছোঁয়া। তবুও দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে এই ফলের জনপ্রিয়তা। বছর দুই-তিনেক আগেও সাধারণ ফলের দোকানে এই ফলের দেখা পাওয়া যেত না। অনলাইনে কিংবা বড় বড় শপিং মল থেকেই কিনতে হত এই ফল। তবে ইদানীং চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই ফল কিন্তু বড় বড় ফলের বাজারের ফল বিক্রেতাদের কাছেও পাওয়া যাচ্ছে। কেন জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই ফলের?
১। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে, ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং ধমনীর স্বাস্থ্যরক্ষায় অ্যাভোক্যাডো বেশ উপকারী। আমেরিকার একটি গবেষণা বলছে, সপ্তাহে দু'টি করে অ্যাভোক্যাডো খেলে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা কমে প্রায় ১৬ শতাংশ, প্রায় ২১ শতাংশ হ্রাস পায় করোনারি হার্ট ডিজিজ়ের আশঙ্কা। তা ছাড়া, অস্বাভাবিক হৃদ্স্পন্দন নিরাময় করতেও অ্যাভোকাডোর তুলনা নেই।
২। হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে ও ওজন কমাতে: একটি অ্যাভোকাডোতে ১৪ গ্রামের মতো ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে কোলন ক্যানসারের আশঙ্কা কমে অনেকটাই। পাশাপাশি, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ওজন কমাতেও সহায়তা করে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
৩। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতে: অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন বি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জারণ ঘটিত ক্ষয় রোধ করতে আর ভিটামিন বি শরীরকে রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া অ্যাভাকাডোতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং একাধিক খনিজ উপাদান, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৪। অনিদ্রা প্রতিরোধে: অ্যাভোকাডোতে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ম্যাগনেশিয়াম অনিদ্রা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। পাশাপাশি, ম্যাগনেশিয়াম শরীরের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে।
৫। চোখ ভাল রাখতে: অ্যাভোকাডোতে থাকে লুটেইন, আলফা ক্যারোটিন ও বিটা ক্যারোটিন। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এই উপাদানগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষত বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধ করতে ক্যারোটিনয়েড খুবই উপযোগী।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও রকম ক্রনিক অসুখ থাকলে ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।