হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে সকালের ৫ অভ্যাসে। ছবি: শাটারস্টক।
ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া। প্রথম কৈশোরের ব্রণ, নতুন মায়ের চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা, শরীরের হঠাৎ ফোলা ভাব, মেয়েদের মুখে রোমের আধিক্য— সব সমস্যার নেপথ্যেই কিন্তু হরমোনের সমস্যা। এ ছাড়া শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে যৌনসুখেও ভাটা পড়ে। শরীরের সুস্থতা ও মনের সুখ নির্ভর করে আছে হরমোনের উপরেই। শরীর ভাল রাখতে হরমোনের সমতা থাকা জরুরি। এই সমস্যাকে অনেকেই উপেক্ষা করেন। শরীরে হরমোনের সমতার এই পরিবর্তনের কারণগুলি কিন্তু লুকিয়ে থাকে আমাদের জীবনযাত্রার মধ্যেই। এমনটা হলে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনবেন, রইল হদিস।
১) ঘুম থেকে উঠেই ফোন ঘাঁটা বন্ধ করুন। ঘুম থেকে উঠলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের (স্ট্রেস হরমোন) ক্ষরণ বাড়ে। বেশির ভাগ লোকেই ঘুম থেকে উঠে আগে ফোন ঘাঁটেন। এই অভ্যাসে মানসিক চাপ আরও বাড়ে, ফলে শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করে। ঘুম থেকে উঠে ঘণ্টাখানেক মোবাইল ছাড়া বারান্দায় গিয়ে রোদে বসুন। প্রকৃতি উপভোগ করুন। মেজাজ ভাল হবে।
২) শরীরচর্চা করলেও কিন্তু হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ঘুম থেকে উঠে হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন। স্ট্রেচিং, যোগাসন করলে শরীরের সংবহনতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও বিপাকহারের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সব মিলিয়ে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
৩) ঘুম থেকে উঠেই অনেকে কফিতে চুমুক দেন। শরীরে হরমোনের সমস্যা থাকলে খালি পেটে কফি না খাওয়াই ভাল।
৪) ঘুম থেকে উঠে অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকেন? এই অভ্যাসও হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। তাই সকালে ঘুম ভাঙার দেড় ঘণ্টার মধ্যে প্রাতরাশ সেরে ফেলাই ভাল। প্রাতরাশে প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি রাখতে হবে।
৫) খালি পায়ে হাঁটলেও শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ভোরবেলা ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটলে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে, বিপাকহারও বাড়ে। তাই নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস শুরু করতে পারেন।