ওট্স খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানলেই মুশকিল! ছবি: শাটারস্টক
চটজলদি ওজন কমাতে চাইলে আগেই বদলে ফেলতে হয় ডায়েটের রোজনামচা। স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই অনেকে প্রাতরাশে ওট্স খেতে শুরু করেন। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার ও নানা ধরেনর খনিজ পুষ্টির উপাদান। সবচেয়ে বড় কথা, ওট্সে একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। অনেকেই ওট্সের পুষ্টিগুণ বাড়াতে এর সঙ্গে পছন্দের ফল মেশান। কিন্তু এই ওট্স খেয়েও যখন ওজন কমে না, তখন ধরেই নিতে হয় ওট্স খাওয়ার ধরনে কোনও গলদ রয়েছে।স্বাস্থ্যকর ওট্স খাওয়ার সময় কোন কোন ভুল এড়িয়ে চলবেন?
১) দেখে নিন কোন ধরনের ওট্স কিনছেন। কারণ বাজারে তিন ধরনের ওট্স পাওয়া যায়। স্টিল কাট ওট্স, রোলডওট্স এবং ইনস্ট্যান্ট ওট্স। এদের মধ্যে স্টিল কাট ওট্স কেনাই সবচেয়ে ভাল। এতে বাকি দু’টির মতো রাসায়নিক মেশানো থাকে না। আবার এতে ফাইবারের পরিমাণও অনেক বেশি। ওজন কমাতে হলে স্টিল কাট ওট্স কিনুন। প্যাকেটবন্দি মশলাদার ওট্স খেয়ে কোনও লাভ হবে না।
২) একবারে অনেকটা পরিমাণ ওট্স খেয়ে ফেলছেন? এটাও কিন্তু হতে পারে ওজন না কমার কারণ। ওট্স এমনিতেই দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি করে রাখতে পারে। তাই পরিমাণ বুঝে ও ক্যালোরি মেপে ওট্স খান। দিনের প্রথম খাবার অর্থাৎ প্রাতরাশেই সবচেয়ে বেশি ক্যালোরির প্রয়োজন।
ওট্স খাওয়ার সময় কী দিয়ে খাচ্ছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: শাটারস্টক
৩) ওটমিল বানানোর সময়ে চিনি দেন? চিনি মিশিয়ে ওট্স খেলে রোগা হওয়ার কথা কিন্তু আপনাকে ভুলতে হবে। একান্তই যদি মিষ্টি কোনও কিছু মেশাতে চান, তা হলে মধু বা ম্যাপেল সিরাপ মেশাতে পারেন। তার বদলে ওট্সের সঙ্গে পছন্দের ফল, বাদাম মেশাতে পারেন। তবে মিষ্টি ফল বা খেজুরও কিন্তু হতে পারে চিনির বিকল্প।
৪) রোগা হতে চাইলে দই বা দুধ দিয়েই ওট্স খান। ওটসের খিচুড়ি, ওট্সের উপমা বা ওট্সের কুকিজ় খেতে সুস্বাদু হলেও এতে মশলা থাকায় এগুলি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তেমন সহায়ক নয়।
৫) ওট্স খাওয়ার সময় কী দিয়ে খাচ্ছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ওট্সের সঙ্গে নিউটেলা, অতিরিক্ত পিনাট বাটার, বেশি করে ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে খেলে ওজন বাড়বেই। তাই ওট্সকে সুস্বাদু বানাতে গিয়েই হচ্ছে গোলমাল।