আঁচিল কমাতে এর পাশাপাশি ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকায়। ছবি: সংগৃহীত
আঁচিল এমনিতে ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু তা অনেক সময় অস্বস্তিজনক হয়ে ওঠে। এক ধরনের ভাইরাসের কারণে আঁচিল হয়। হিউম্যানপ্যাপিলোমাভাইরাস নামের ভাইরাসের সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়তে থাকে। ফলে বড় হয় আঁচিল। তবে সব ক্ষেত্রে আঁচিল সমান ভাবে বড় হয় না। একেকজনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ভিন্ন। আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ খান। আঁচিল কমাতে এর পাশাপাশি ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকায়।
১) ডিম:একটা কাঁচা ডিম ভেঙে কুসুম ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে ব্রাশের সাহায্যে আঁচিলের উপর লাগান। পর পর দু’সপ্তাহ দু’দিন করে এটি আঁচিলের উপর লাগান। কিছুক্ষণ রাখুন। তার পর মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে সাবান ও ঠান্ডা জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।
আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ খান। ছবি: সংগৃহীত
২) পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসে আছে অ্যান্টিসেপ্টিকগুণ, যা বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজের রসে রয়েছে আঁচিল কমানরো ক্ষমতাও। পেঁয়াজের রস তুলো ভিজিয়ে আঁচিলের উপর লাগান। এতে উপকার পেতে পারেন।
৩) অ্যাপল সিডার ভিনিগার: ভিনিগারে ভেজানো তুলো আঁচিলের উপর রেখে দিন সারা রাত। পর পর পাঁচ দিন করুন। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে প্রচুর অ্যাসিড রয়েছে। আঁচিলের সমস্যা কমাতে দারুণ সাহায্য করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার।
৪) বেকিং সোডা: ক্যাস্টর অয়েল এবং বেকিং পাউডারের একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি আঁচিলের উপর ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। সারা রাত রাখুন। বেশ কিছু দিন পর থেকে উপকার পাবেন।
৫) রসুন: ত্বকের যত্নে রসুন খুবই উপকারী। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক উপাদান। অ্যালিসিন অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। রসুন থেঁতো করে আঁচিলের জায়গা লাগালে উপকার পাবেন।
শরীরের কোনও অংশে আঁচিল দেখা দিলে ঘরোয়া টোটকার পাশাপাশি চিকিৎসকরে পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।