বাড়ির বাগানেই মিলবে ওজন কমানোর ওষুধ। —ফাইল চিত্র
মানুষ মাত্রই নিজের মতো করে সুন্দর, তাঁর শারীরিক গঠন যেমনই হোক না কেন। তাই ওজন বেশি বলে কাউকে হেয় করা ঠিক নয়। কিন্তু এ কথাও মিথ্যা নয় যে, অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনতে পারে হরেক রকমের রোগ। তাই এখন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই খাওয়াদাওয়ায় লাগাম টানেন। কিন্তু রোজ রোজ বাজার থেকে পুষ্টিকর শাকসব্জি আনা সম্ভব নয়। তবে উপায়? বাড়িতেই লাগিয়ে ফেলতে পারেন এমন কিছু গাছ, যেগুলি খাদ্যতালিকায় যোগ করলে কমতে পারে ওজন।
১। কারি পাতা: ভারতীয় রান্নাঘরে এই পাতা এমনিতেই খুব জনপ্রিয়। বিশেষত দক্ষিণ ভারতীয় খাবারে কারি পাতার ব্যবহার খুবই বেশি। বাড়িতে একচিলতে বারান্দা থাকলে ছোট টবেই লাগাতে পারেন এই গাছ। বিশেষ পরিশ্রম হবে না, আবার খালি পেটে কারি পাতা চিবিয়ে খেলে কমতে পারে ওজনও।
২। অরিগ্যানো: পুদিনা পাতার এই তুতো ভাইতে থাকে ‘ফ্ল্যাভিনয়েড’ ও ‘পলিফেনল’ জাতীয় উপাদান। এই দু’টি উপাদান ওজন কমাতে কাজে আসতে পারে। অরিগ্যানো গাছও সহজেই ফলানো যেতে পারে বাড়ির টবে।
অরিগ্যানো গাছও সহজেই ফলানো যেতে পারে বাড়ির টবে। —ফাইল চিত্র
৩। পার্সলে: পার্সলে পাতা একটি ডাইইউরেটিক খাবার। অর্থাৎ, এটি দেহের জলীয় ভর কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, এই পাতায় রয়েছে ‘ইউজিনল’ নামক এক প্রকার তেল বা স্নেহপদার্থ। এই তেল বিপাকহার বেড়ে যায়। আর বিপাকহার বাড়লে দেহে মেদ সঞ্চয়ের আশঙ্কা কমে।
৪। ধনে পাতা: ডাল, তরকারি থেকে ফুচকার আলু, বাঙালির অতিপরিচিত ধনেপাতাও কাজে আসতে পারে ওজন কমাতে। ধনে পাতা ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি ও ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর। তা ছাড়া, এতে রয়েছে ‘কোয়েরসেটিন’ নামের একটি উপাদান। এই উপাদানটি বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে মেদ ঝরাতে কাজে আসতে পারে এই উপাদানটিও।
৫। রোজমেরি: রোজমেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। দেহের দূষিত পদার্থের মাত্রা কমাতে ও দেহে তৈরি হওয়া ক্ষতিকর জৈব পদার্থের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে এই ভেষজ। সাহায্য করে ওজন কমাতেও।