গরম পড়তেই বাজারে তালশাঁসের আনাগোনা শুরু হয়েছে। ছবি: শাটারস্টক।
পাড়ার মোড়ে, মেট্রো স্টেশন থেকে রাস্তায় বেরোনোর মুখে যে ফল বিক্রেতারা বসে থাকেন, তাঁদের ঝুড়িতে এখন তালশাঁসের দেখা মিলবেই। গরম পড়তেই বাজারে তালশাঁসের আনাগোনা শুরু হয়েছে। পেকে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এই ফলের দানা বা বীজটি খাওয়ার মতো অবস্থায় থাকে। নরম, শাঁসযুক্ত এবং সুমিষ্ট এই ফলটি খেলে শরীরও ঠান্ডা হয়। ভিটামিন সি, কে, ই, আয়রন, কার্বোহাড্রেট, ক্যালশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে এই ফলে। ভিটামিন বা খনিজের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি আর কী উপকার হয় এই ফল খেলে?
১) শসা, তরমুজের মতোই তালশাঁস খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে এই ফল। শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতেও তাল শাঁস খাওয়া যায়।
২) ক্যালশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন এবং বিভিন্ন রকম ভিটামিন রয়েছে তালশাঁসে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ফল।
৩) তালশাঁসের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে এই ফল। পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব কাটাতেও তালশাঁস খাওয়া যায়।
৪) অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদায়ীদের জন্য এই ফল বেশ কাজের। তালশাঁসের মধ্যে নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। হবু কিংবা নতুন মায়েদের হাড়ের জোর বাড়িয়ে তুলতে এবং শরীরে নানা রকম পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে তালশাঁস।
৫) গরমে, রোদে বেরোলেই মুখে অ্যালার্জি হয়, মুখ জ্বালা করে? তালশাঁস কুরে বা মিক্সিতে বেটে মুখে মেখে রাখুন। ত্বকের প্রদাহ নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে তালশাঁস দারুণ কাজের।