ইউটিআইয়ের সমস্যার দাওয়াই লুকিয়ে হেঁশেলে। ছবি: সংগৃহীত।
কষা মাংস থেকে নিরামিষ তরকারি— মশলার গুণেই স্বাদ আসে খাবারে। তবে কিছু মশলা এমনও আছে যা শুধু রান্নাকে স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় করে তোলে না, একই সঙ্গে খেয়াল রাখে স্বাস্থ্যেরওও। স্বাস্থ্যকর মশলা হিসাবে হলুদ, জিরে, মেথি যথেষ্টই পরিচিত। তবে এই তালিকায় সংযোজন হতে পারে ধনেরও।
ধনেতে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, এ, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপকারী উপাদান, যা হজমজনিত সমস্যা দূর করে। রোজ সকালে চায়ের বদলে ধনের জল খাওয়ার গুণ অনেক। জেনে নিন, আর কী কী উপকারে আসে এই পানীয়।
১) শরীরে জমা দূষিত পদার্থ এই জল বার করে দিতে সাহায্য করে। দিনের ২-৩ বার এই জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। মূত্রনালিতে সংক্রমণ বা ইউটিআইয়ের সমস্যা হলেও এই পানীয় সপ্তাহখানেক খেলে তা থেকে রেহাই মেলে।
২) অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া হয়ে গিয়েছে, পেট আইঢাই করছে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যান্টাসিড না খেয়ে ধনের জল খেলে শরীর পেট হালকা হবে। অস্বস্তি কমবে।
৩) ওজন কমাতে তো অনেকেই অনেক কিছু করেন। নিয়মিত এই জল খেয়েও দেখতে পারেন। হজমশক্তি বাড়বে অনেকটাই। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ধনের বীজ ভেজানো জলের সবচেয়ে বড় গুণ কিডনি পরিষ্কার করা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) যাঁদের হাড়ের সমস্যা, বাতের ব্যথা বা গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা হয়, তাঁরা এই জল খেয়ে দেখতে পারেন। অনেকটাই কমবে এই সমস্যা।
৫) ধনের বীজ ভেজানো জলের সবচেয়ে বড় গুণ কিডনি পরিষ্কার করা। যাঁদের কিডনি দুর্বল, তাঁদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ সহজে বেরোতে চায় না। শরীরে টক্সিন জমা হতে থাকে। এই জল তাঁদের কিডনিকে দূষণমুক্ত করে দেয়।
কী ভাবে বানাবেন?
২ কাপ জলে ১ কাপ ধনে মিশিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। তার পরে আরও ২ মিনিট অল্প আঁচে রেখে দিন। এ বার ছেঁকে নিয়ে চায়ের মতো পান করুন এই পানীয়।