মধ্যপ্রদেশ কমাবার কয়েকটি উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
অতিরিক্ত ওজন নানা শারীরিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই চিকিৎসকরা সব সময়েই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওজন কমানোর সঠিক পন্থা না মেনে হঠাৎ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলে বা অতিরিক্ত বেশি শরীরচর্চা শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা শরীরচর্চা করতে মোটেই পছন্দ করেন না। বার বার জিমে ভর্তি হলেও দিন দুয়েক করেই হাল ছেড়ে দেন অনেকে। আপনারও কি জিমে যেতে আলস্য লাগে? অথচ বাড়তি ওজন চিন্তায় ফেলেছে? জিমে গিয়ে শরীরচর্চা না করেও মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। ওজন ঝরানোর জন্য সবার আগে জানতে হবে ওজন বাড়ছে কেন? কোন অভ্যাসে লাগাম টানলে ওজন কমবে?
প্রাতরাশ না করা: অফিসের তাড়াহুড়োর কারণে অনেকেই প্রাতরাশ না করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এই অভ্যাস কিন্তু বিপাকহার কমিয়ে দেয়, দিনের পরবর্তী সময়ে ভুলভাল খাবার খাওয়ার প্রবণতাও বাড়িয়ে দেয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া: ব্যস্ততার মাঝে চটজলদি খাবার বানানোর জন্য অনেকেই প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপর নির্ভর করেন। এই ধরনের খাবারে চিনি, নুন ও ফ্যাটের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। এই অভ্যাসের কারণেই কিন্তু ওজন বেড়ে যায়।
অস্বাস্থ্যকর ভাজাভুজি মেদ বাড়ায়। ছবি: সংগৃহীত।
নরম পানীয় খাওয়ার অভ্যাস: সোডা, ফলের রস, এনার্জি পানীয়, নরম পানীয় নিয়মিত খেলেও ওজন বেড়ে যায়। এই সব পানীয় খুব বেশি চিনি থাকে, যা ওজন বাড়িয়ে দেয় অজান্তেই।
অনেকটা খাবার একসঙ্গে খাওয়া: দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থেকে একেবারে অনেকটা খাবার একসঙ্গে খাওয়াও কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। এই অভ্যাসের কারণেও ওজন বাড়ে। এর বদল সারা দিনের খাবারে ছ’ভাগে ভাগ করে নিন। অল্প অল্প করে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
স্ন্যাকসে অস্বাস্থ্যকর খাবার: সারা দিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও বিকেলে হালকা খিদে পেলে অনেকেই চপ, পেঁয়াজি, রোল, চাউমিন খেয়ে ফেলেন। এই অভ্যাস ভাল নয়। নিজের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রাখুন। মাখানা, পপকর্ন, ওট্স কুকিজ় রাখতে পারেন। কিছুই না থাকলে মশলা মুড়ি খেতে পারেন।