ছবি: সংগৃহীত
ক্রমশ চ়ড়ছে তাপমাত্রা। বাইরে বেরোলেই মাথার উপর চড়া রোদ। বাড়ছে অস্বস্তি। বাড়ি থেকে কাজের পালা চুকেছে। কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোনো ছাড়াও গতি নেই। গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই চুমুক দিচ্ছেন বিভিন্ন ঠান্ডা পানীয়তে। স্বাদ নিচ্ছেন আইসক্রিমের। আইসক্রিম, প্রক্রিয়াজাত এই ধরনের পানীয়ে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। সাময়িক ভাবে স্বস্তি দিলেও এগুলি শরীরের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও থেকে যায়। তাই গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখতে বেছে নিতে পারেন এমন কিছু ফল, যেগুলি ওজন রাখবে নিয়ন্ত্রণে। সেগুলি কী?
১) তরমুজ:বিকেলের জলখাবারে হঠাৎ খিদে পেলে অনায়াসে খেয়ে নিতে পারেন এক টুকরো তরমুজ। প্রচুর জল সমৃদ্ধ তরমুজহজমশক্তি উন্নত করে। শরীরের বাড়তি ক্যালোরি ঝরাতেও সাহায্য করে তরমুজ।
গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখতে বেছে নিতে পারেন এমন কিছু ফল, যেগুলি ওজন রাখবে নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত
২) বেরি জাতীয় ফল: পেটের সমস্যার জন্য দারুণ কার্যকর বেরি। বিশেষ করে ব্ল্যাক বেরি ও ব্লু বেরি। এই দুটিই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। সকালের জলখাবারে ওটমিলের সঙ্গে বেরি মিশিয়ে খেতে পারেন। ওজন কমবে দ্রুত।
৩) বাতাবি লেবু: প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ বাতাবি লেবু হজমে সাহায্য করে। ডায়াবিটিস আক্রান্তদের জন্যও বাতাবি লেবু খুব উপকারী। ওজন কমাতে কার্যকরী বাতাবি লেবু।
৪) লাউ: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে লাউ। প্রচুর পরিমাণে জল সমৃদ্ধ লাউয়ে ক্যালোরি ও ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। অম্বলের ভয়ে অনেকই রাতে লাউ এড়িয়ে চলেন। কিন্তু লাউ খুবই হালকা সব্জি। রাতে লাউ খেলে বদহজম বা অম্বলের কোনও ভয় থাকে না। বরং শরীর ঠান্ডা থাকে।
৫) শশা: শশার পুরোটাই জল। ফলে গ্রীষ্মে শরীর আর্দ্র রাখতে শশার বিকল্প নেই। অনেকেই শুধু শশা খেতে পছন্দ করেন না। বিশেষ করে খুদেরা। সেক্ষেত্রে শশা দিয়ে বানাতে পারেন রায়তা কিংবা স্যান্ডউইচ। শশার রস করেও খেতে পারেন। হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।