মাইগ্রেনের দাওয়াই খুঁজে পাবেন হেঁশেলে। ছবি: শাটারস্টক।
কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, কখনও আবার কড়া রোদ— মরসুম বদলের সময়ে মাইগ্রেনের সমস্যায় নাজেহাল হন অনেকেই। প্রচণ্ড মাথাব্যথা, সঙ্গে বমি বমি ভাব কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব যন্ত্রণা, সঙ্গে জ্বর— এই উপসর্গগুলি মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে বেশ পরিচিত। মাইগ্রেন সেরে যায় কয়েক ঘণ্টায়, কখনও আবার বেশ কয়েক দিন ধরে ভোগায় এই সমস্যা। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই যন্ত্রণা শরীর কাবু করে দেয়। এ দিকে, কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই, যা কমিয়ে দিতে পারবে মাইগ্রেন। তবে জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার ডায়েটে রাখলে অনেকটাই সাহায্য করতে পারে মাইগ্রেনের সঙ্গে লড়তে।
বহু শারীরিক সমস্যার সমাধানই করতে পারে জল। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও সে কথা সত্যি। নিজের শরীরে জলের মাত্রা যথেষ্ট রাখা প্রয়োজন। দিনে ৮-১০ গ্লাস জল খেলে এই অসুখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এ ছাড়াও মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতে ডায়েটে রাখুন ৫ খাবার। দেখে নিন, কী কী আছে সেই তালিকায়।
বাদাম: বাদামে থাকে ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদানটি মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ফলে কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে এই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নেওয়াই যায়। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করা যেতেই পারে।
তেলযুক্ত মাছ: ইলিশ, রুই, কাতলা, পমফ্রেটের মতো মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে। রোজের ডায়েটে এমন মাছ রাখলে মাথা যন্ত্রণার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কলা: অনেক সময়ে খালি পেটে থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করা মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া) হয়ে মাথা ধরে যেতে পারে। সেটাই মাইগ্রেনের ব্যথায় পরিণত হতে পারে। চটজলদি মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে একটি কলা খেয়ে নিতে পারেন। ম্যাগনেশিয়ামের ভরপুর এই ফল খেলে খুব দ্রুত শরীর চাঙ্গা করতে সাহায্য করে এবং মাইগ্রেনের আশঙ্কাও কমায়।
আদা চা: মাইগ্রেন শুরু হলে বমি বমি ভাব আসে, শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। এই সমস্যা দূর করতে আদা চায়ে চুমুক দিতে পারেন। আদায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইমফ্ল্যামেটরি গুণ মাইগ্রেনের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
শাক: পালংশাকে ভিটামিন বি৬, বি১২, ফলিক অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই সব উপাদান মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতে কাজে লাগে। তাই এই শাক রোজের ডায়েটে রাখা যেতেই পারে।
উপরের প্রতিবেনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও রকম ক্রনিক অসুখ থাকলে ডায়েটে বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।