ওজন মাপার কিন্তু নির্দিষ্ট সময় এবং পদ্ধতি আছে। প্রতীকী ছবি।
যে দিন থেকে ডায়েট করা শুরু করেছেন, সময় সুযোগ পেলেই ওজন মেশিনে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। কতটুকু ওজন কমল, তা দেখার কৌতূহল সকলেরই থাকে। কিন্তু সমস্যা হল, যেখানে যত বার ওজন মাপছেন, প্রত্যেক জায়গাতেই এক এক রকম সংখ্যা ফুটে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে ওজন যদি বেশি দেখে অনেকেরই মনে হয় যন্ত্রটির কোনও দোষ রয়েছে। আবার কম দেখালে মনে এতটাই আনন্দ হয় যে, ডায়েট ভুলে আইসক্রিম খেয়ে ফেলার কথা ভাবেন। তবে চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই বলেন, ওজন মাপার কিন্তু নির্দিষ্ট সময় এবং পদ্ধতি আছে। তাই যখন খুশি, যেখানে খুশি ওজন মেপে নিলেই যে সঠিক পরিমাপ দেখাবে এমনটা কিন্তু নয়।
তা হলে কোন সময়ে ওজন মাপলে দেহের সঠিক ভার জানা যাবে?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন মাপার জন্য আদর্শ সময় হল সকালবেলা। ঘুম থেকে ওঠার পর প্রাতকৃত্য সেরে, চা বা জল না খেয়েই ওজন মেপে নেওয়া ভাল। এই ভাবে ওজন মাপলে দেহের বাড়তি ওজন আসার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
দেহের সঠিক ভার পেতে গেলে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে বলেন চিকিৎসকেরা। রাস্তাঘাটে বা কারও বাড়িতে ওজন মেশিন দেখলেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন, তা হলে কিন্তু কোনও দিনই সঠিক ওজন পাওয়া যাবে না। তাই নির্দিষ্ট একটি দিন এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ও ঠিক করে রাখতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ওই দিনেই ওজন মাপার চেষ্টা করুন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন মাপার জন্য আদর্শ সময় হল সকালবেলা। প্রতীকী ছবি।
সঠিক ওজন জানতে হলে কোন সময়ে মাপবেন?
১) সপ্তাহে এক দিন নির্দিষ্ট সময়ে ওজন মাপার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ যে রবিবার সকাল ১০টার সময় ওজন মেপেছিলেন, ঠিক পরের সপ্তাহে রবিবার ১০টার সময়েই ওজন মাপুন।
২) ওজন মাপার যন্ত্রটি সমতল, শক্ত জায়গায় রেখে তার পর যন্ত্রটিতে উঠুন।
৩) জুতো খুলে ওজন মাপার যন্ত্রের উপর উঠে দাঁড়ান।
৪) খুব ভারী জামাকাপড় পরে ওজন নেওয়া যাবে না। সাধারণ হালকা, বাড়িতে পরার পোশাক পরে ওজন নিলে বাড়তি ওজন দেখানোর সম্ভাবনা কমে।
৫) খেয়াল রাখবেন, পকেটে যেন মোবাইল বা ভারী কোনও জিনিস না থাকে।
৬) ব্যায়ামের পর ওজন মাপলে কোনও দিনই সঠিক দেহের সঠিক ভার পাওয়া যাবে না।
৭) মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রতি মাসের বিশেষ ওই দিনগুলিতে ওজন নিলেও তা সঠিক হবে না।