সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াবেন কী করে? — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কয়েক দিন ধরেই প্রস্রাব করতে গিয়ে কেমন একটা অস্বস্তি হচ্ছে। জ্বালা করছে, প্রস্রাবের বেগ এলেও হচ্ছে না। রাতের দিকে ঘুষঘুষে জ্বরও আসছে। উপসর্গ দেখে বুঝতেই পেরেছেন অতর্কিতে হানা দিয়েছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই। কিন্তু এত ব্যস্ততার মাঝে সময় বার করে যে চিকিৎসকের কাছে যাবেন তার উপায় নেই। তাই দোকান থেকে ওষুধ কিনে নিজেই খেতে শুরু করেছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই প্রবণতা অত্যন্ত খারাপ। অনেকেই এই বিষয়ে কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন। তাই চট করে ডাক্তারের কাছে যেতে চান না। কিন্তু মূত্রনালির সংক্রমণ তো আর সাধারণ সর্দি-কাশি নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খাওয়া যায় না। তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে পর্যন্ত কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকাই যায়।
১) পর্যাপ্ত জল খাচ্ছেন কি না
মূত্রনালিতে সংক্রমণ হলে বা তেমন প্রবণতা দেখা দিলে শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না হয়, সে বিষয় নজর রাখুন। প্রস্রাবের রঙের দিকেও নজর রাখুন। সাধারণত প্রতি ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। প্রস্রাব হতে এর চাইতে বেশি দেরি হলে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। খুব বেশি ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখবেন না, এতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২) ভিটামিন সি-যুক্ত ফল
পুষ্টিবিদেরা বলেন, মূত্রনালির সংক্রমণ হলে ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফল খাওয়া উচিত। এই ধরনের ফলে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। যা ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৩) প্রোবায়োটিক
এই সময় প্রোবায়োটিক জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এই প্রকার খাদ্য ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। দই প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। দই, ঘোল, ছাঁচ, লস্যি খেলেও উপকার পেতে পারেন।
মূত্রনালির সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল অপরিচ্ছন্নতা। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
৪) পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
মূত্রনালির সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল অপরিচ্ছন্নতা। প্রতি বার প্রস্রাব করার পর জল দিয়ে গোপনাঙ্গ ধোয়া, ঘাম জমতে না দেওয়া, পরিষ্কার অন্তর্বাস পরার অভ্যাস করতে পারলে সংক্রমণ এড়িয়ে চলা যায়। তা ছাড়া গোপনাঙ্গে সুগন্ধযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার না করলেই ভাল।
৫) ক্র্যানবেরির রস
মূত্রনালির সংক্রমণ রুখে দিতে পারে ক্র্যানবেরির রস। নিয়মিত এক গ্লাস এই ফলের রস খেতে পারলে মূত্রনালির দেওয়ালে ব্যাক্টেরিয়া সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। তবে ক্র্যানবেরি খুব একটা সহজভ্য নয়। তাই বদলে আঙুর, কিশমিশ বা চেরি খাওয়া যেতে পারে।