Cancer

রোজের কোন অভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়? নিত্য জীবনযাপনেই বিপদ লুকিয়ে নেই তো?

চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসারের নানা কারণ থাকে। তার মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে তা দৈনন্দিন অভ্যাস ও কিছু কাজের হাত ধরেও শরীরে প্রবেশ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:০১
Share:

শরীরে টক্সিক পদার্থের উপস্থিতি যত বাড়বে, ক্যানসারের আশঙ্কাও ততই বাড়বে। ছবি: শাটারস্টক।

ওজন বেড়ে গেলে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। দ্রুত ওজন কমাতে জিমে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে ডায়েটে রকমারি বদল আনতে শুরু করি। তবে শরীরে যেন ক্যানসার বাসা না বাঁধে সে নিয়ে কি আমরা আদৌ সচেতন? দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু কাজ প্রায়ই করে থাকি, যা কোনও না কোনও ভাবে ক্যানসার ডেকে আনায় সহায়ক হয়! অনেক সময় জেনেবুঝেও সেই ভুল করে বসি আমরা। কখনও বা ক্যানসারের বীজ ছড়িয়ে পড়ার কথা না জেনেই সেই সব কাজ রুটিনে রেখে দিই।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, ক্যানসারের নানা কারণ থাকে। তার মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে তা দৈনন্দিন অভ্যাস ও কিছু কাজের হাত ধরেও শরীরে প্রবেশ করে। শরীরে টক্সিক পদার্থের উপস্থিতি যত বাড়বে ক্যানসারের আশঙ্কাও ততই বাড়বে। কিছু অভ্যাসে রাশ টানতে পারলে খানিকটা হলেও ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

দূষণ এড়িয়ে চলুন

Advertisement

করোনা আমাদের মাস্ক পরার অভ্যাস করিয়েছে। করোনার দাপট কমতেই সেই অভ্যাস প্রায় ভুলতে বসেছি আমরা। কেবল করোনা থেকে বাঁচতেই নয়, বায়ুদূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতেও রাস্তায় বেরোলে নিয়মিত মাস্ক পরুন। ধূমপানই নয় শুধু, ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম কারণ কিন্তু দূষণ। তাই সুরক্ষিত থাকতে মাস্ক পরুন।

প্রক্রিয়াজাত খাবার

প্যাকেটবন্দি মাছ, মাংস, সস, বেকন, সালামি, হ্যাম, সসেজের লোভনীয় স্বাদ আমাদের বার বার এ সবের দিকে টেনে নিয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিকিৎসকদের মত মানলে দেখা যায়, এগুলোকে গ্রুপ ১ কার্সিনোজেন ও গ্রুপ ২এ কার্সিনোজেন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অত্যধিক পরিমাণে এ সব খেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে।

ই-সিগারেট ও ধূমপান

তামাকজাত দ্রব্যের বাজারে ই-সিগারেট এসে যাওয়ায় অনেকেই ধূমপানের সময় এটি ব্যবহার করেন। ভেবে থাকেন, এতে কম ক্ষতি হয়। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ই-সিগারেটেও সমান ক্ষতি হয়। সাধারণ বিড়ি-সিগারেট ও ই-সিগারেট— সব ক্ষেত্রেই শরীরে ঢুকে পড়ে তামাক ও কার্বন। ক্যানসার দানা বাঁধার সব রকম উপাদান এতে মজুত। তাই ক্যানসার থেকে রক্ষা পেতে সব রকম ধূমপানই বর্জন করতে হবে। তামকজাত পদার্থগুলি এড়িয়ে চলুন।

ক্যানসার থেকে রক্ষা পেতে সব রকম ধূমপানই বর্জন করতে হবে।

গরম চা-কফি

দিনের শুরুই হয় চা বা কফি দিয়ে? তা হোক, কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে খুব গরম চা পান করার অভ্যাসে যেন দাঁড়ি পড়ে। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্যানসার’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীদের দাবি, খাদ্যনালিতে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বহু গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে ফুটন্ত চা খাওয়ার প্রবণতা। মুখ, গলা ও খাদ্যনালিতে হওয়া ফুয়েল টিউমারই এই ধরনের ক্যানসারকে ডেকে আনে।

প্লাস্টিকের ব্যবহার

সাধারণ কোনও প্লাস্টিকের বোতলে গরম জল রাখলে বা প্লাস্টিকের পাত্রে মাইক্রোওয়েভে খাবার তৈরি করলে অথবা পাত্রগুলিকে ডিটারজেন্টে ধুলে বিসফেনল বা বিপিএ যৌগমুক্ত হয়। পরে খাবার ও পানীয়ের মধ্যে দিয়ে বিপিএ মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। বিপিএ-র জন্য স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারের মতো রোগ হতে পারে। তাই দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চললেই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement