কোন আটার রুটি খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
মেদ ঝরিয়ে তন্বী হয়ে উঠতে চান। তাই ভাত, রুটি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু তিন বেলা শুধু সেদ্ধ সব্জি খেয়ে তো পেট ভরানো যায় না। তা হলে খিদে মেটাবেন কী ভাবে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে সব খাবার খেয়েও কিন্তু ছিপছিপে থাকা যায়। ইদানীং আবার সর্বত্র ‘মাল্টিগ্রেন’ আটার জয়জয়কার। সেই আটা দিয়ে তৈরি রুটি কিংবা পাউরুটি খেলে শরীরের উপকারই হয়। ভিটামিন, ফাইবার, খনিজে ভরপুর এই আটা খেলে আর কী কী উপকার হয়?
১) ওজন কমায়
শুধু গমের আটার চেয়ে মাল্টিগ্রেন আটায় ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। এই ফাইবার অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে। তাই বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই ফাইবার।
২) হার্টের জন্য ভাল
ওট্স, বার্লির মতো দানাশস্য রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ বশে রাখতে পারলে সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল থাকে।
৩) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস রয়েছে যাঁদের, চিকিৎসকেরা তাঁদের এমন খাবার খেতে বলেন যেগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। এই ধরনের খাবার খেলে রক্তে হঠাৎ শর্করা হেরফের করে না। প্রয়োজন অনুযায়ী শর্করা বিপাক করে তা শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়।
বিভিন্ন প্রকার দানাশস্য থেকে তৈরি আটায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। ছবি: সংগৃহীত।
৪) গ্লুটেনেও তারতম্য থাকে
ময়দা, আটায় গ্লুটেনের পরিমাণ বেশি। গ্লুটেনজাতীয় খাবার খেলে যাঁদের পেটের সমস্যা হয়, তাঁদের জন্য মাল্টিগ্রেন বা বিভিন্ন রকম দানাশস্য থেকে তৈরি আটা খাওয়া ভাল।
৫) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর
বিভিন্ন প্রকার দানাশস্য থেকে তৈরি আটায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে শুধু স্বাস্থ্য নয়, ত্বক, চুল ভাল রাখতেও সমান গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদান।