Reasons for Memory Loss

স্ত্রীর জন্মদিন কিছুতেই মনে থাকে না? রোজের ৫ অভ্যাস অজান্তেই মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমাচ্ছে

আমাদের রোজকার কিছু অভ্যাস অজান্তেই মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানলে কর্মক্ষমতা বাড়বে মস্তিষ্কের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:২২
Share:

রোজের ৫ অভ্যাস অজান্তেই স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দিচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।

অফিসে জরুরি মিটিংয়ের সময় হোক বা বাড়িতে ফেরার সময়— প্রয়োজনীয় কোন কোন জিনিস নিয়ে যেতে হবে তা মনে রাখাটা একটা বড় কাজ। তার পাশাপাশি প্রিয়জনের জন্মদিনটাও মনে রাখতে হবে বইকি! ভুলে গিয়ে কথা না রাখতে পারার সমস্যা বা ভুলের জন্য কাজের ক্ষতি— কে-ই বা এ সব পোহাতে চায় বলুন! তবে যত দিন যাচ্ছে ততই যেন স্মৃতিশক্তি আবছা হয়ে যাচ্ছে— এমন সমস্যায় পড়তে শুরু করেছেন তরুণ-তরুণী থেকে মাঝবয়সিরাও। একটা সময় ধারণা ছিল, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমে স্মৃতির দৌড়। কিন্তু আধুনিক জীবনযাপনের চাপ সে তথ্যকে মিথ্যে প্রমাণ করছে। ভুলে যাওয়ার সমস্যা এখন গ্রাস করছে অল্পবয়সিদেরও।

Advertisement

টুকটাক দোকান-বাজার থেকে কিছু আনার তালিকাই হোক বা দরকারি কোনও জিনিস কোথায় রাখলেন, তার খোঁজ— জীবনে চলার পথে মাথার কাজ চালানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রোজকার কিছু অভ্যাস অজান্তেই মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করছে। জেনে নিন, কোন কোন অভ্যাসে রাশ টানলে কর্ম ক্ষমতা বাড়বে মস্তিষ্কের।

১) পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব: রাত জেগে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ় দেখার অভ্যাস আছে অনেকের। তা ছাড়াও অনেকে রাতে ফোনে সমাজমাধ্যমে সময় কাটাতে ভালবাসেন। ফলে ঘুম ঠিকঠাক হয় না। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সঠিক ভাবে চালানোর জন্য প্রতি দিন সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের অভাব প্রভাব ফেলে স্মৃতিশক্তির উপর।

Advertisement

২) উচ্চৈঃস্বরে গান শোনা: মেট্রো হোক বা বাস অনেককেই দেখা যায় সারা ক্ষণ কানে হেডফোন গুঁজে রাখতে। কানে বড় হেডফোন গুজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চৈঃস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এতে শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব পড়ে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম মস্তিষ্কের জন্য ভাল নয়। ছবি: সংগৃহীত।

৩) অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম: বাসে, ট্রামে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে সমাজমাধ্যমে ঘাঁটাঘাঁটি, অফিসে গিয়ে সারা ক্ষণ ল্যাপটপের সামনে কাজ, বাড়ি ফিরেও মোবাইলে ওয়েব সিরিজ় দেখা— সব মিলিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটে যায় পর্দার সামনে। এতে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে। স্ক্রিন টাইম যত বেশি হবে, ততই আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা কম বলি, অন্য কাজেও মনোযোগ কম দিই, ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

৪) একা থাকার অভ্যাস: আমাদের ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা এখন হাজার হাজার হলেও নিজ জীবনের সব সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুর বড় অভাব। অনেকে এমন আছেন, যাঁরা কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন তাঁরা। এর প্রভাবও পড়ে মস্তিষ্কের উপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাঁদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

৫) চিনি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এ দিকে বার্গার, ভাজাভুজি, আলুর চিপ্‌স বা নরম পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। অন্য দিকে, সবুজ শাকসব্জি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement