রাতে দুধ খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
দুধ খেলেই পেটের সমস্যা। গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপার সমস্যায় জেরবার হতে হয়। কিন্তু দুধ না খেলেও তো বিপদ! দুধের মতো পুষ্টিকর পানীয় আর দু’টি নেই। দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি। হাড়, দাঁত ভাল রাখার জন্য এই দু’টি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। পেশি মজবুত রাখতে প্রয়োজন প্রোটিনের, যা দুধে মেলে। এ ছাড়াও শারীরবৃত্তীয় উপকারের জন্য বেশ কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় দুধ থেকে। দুধ খেলে পেটে নানা রকম সমস্যা হয় বলে অনেকেই দিনের বেলায় দুধ খেয়ে নিতে চান। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধের উপকারিতা যদি বুঝতেই হয় তা হলে তা খেতে হবে রাতে। ঘুমোনোর আগে দুধ খেলে ঠিক কী কী উপকার মিলতে পারে?
১. অনিদ্রাজনিত সমস্যা নিরাময় করে
বিছানায় যাওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ দুধে চুমুক দিলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দুধের মধ্যে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ঘুম আসা বা না আসার পিছনে এই দু’টি হরমোনের ভূমিকা রয়েছে।
২. পেশির ব্যথায় আরাম দেয়
খেলাধুলো, জিম কিংবা কায়িক পরিশ্রম করে গায়ে ব্যথা হয়েছে? রাতে ঘুমোনোর আগে এক কাপ ঈষদুষ্ণ দুধ খেয়ে দেখুন, পরের দিন অনেকটা আরাম মিলবে। দুধের মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড পেশির প্রদাহ নিরাময়ে সাহায্য করে।
৩. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
ট্রিপটোফ্যান ছাড়াও দুধের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু পেপটাইড, যা স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমনে সাহায্য করে। বলা বাহুল্য, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে, রাতে ঘুমও ভাল হয়।
মরসুমি ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে পারে ঈষদুষ্ণ দুধ। ছবি: সংগৃহীত।
৪. সর্দি-কাশি থেকে আরাম মেলে
একটু বৃষ্টি পড়ল কি, না পড়ল, অমনি হাঁচি-কাশি শুরু হল। এই ধরনের মরসুমি ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে পারে ঈষদুষ্ণ দুধ। রাতে শোওয়ার আগে যদি এক কাপ দুধে এক চিমটে হলুদ এবং গোলমরিচ দিয়ে খেতে পারেন, তা হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে।
৫. অম্বল নিরাময় করে
রাতে রুটি খেলেই গলা-বুক জ্বালা করে? রাতে শোওয়ার আগে ঠান্ডা দুধ খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। পাকস্থলির মধ্যে থাকা অতিরিক্ত পাচক রস, অ্যাসিড শোষণ করতে সাহায্য করে দুধ। পেটের ভিতর ‘আলসার’জনিত সমস্যা থাকলে তা-ও নিরাময় করে।