মাছের তেলে জেল্লা ফিরবে ত্বকের? ছবি: ফ্রিপিক।
মাছের তেল, গরম ভাতে খেতে দারুণ লাগে। আবার শরীর ভাল রাখতে অনেকে ‘ফিশ অয়েল’ ক্যাপসুলও খান। তবে শুধু হাড় মজবুত করতে বা হার্ট ভাল রাখতেই নয়, মাছের তেল ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও কার্যকর।
কিন্তু কেন এর উপকারিতা, কী থাকে মাছের তেলে?
মাছের তেলের অন্যতম উপাদানই হল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ডি। ত্বক টানটান রাখতে, ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যন্ত কার্যকর। কিছু কিছু মাছের তেলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। কোনওটিতে মেলে সেলেনিয়াম। বলিরেখা দূর করতে এই উপাদানগুলি সহায়ক। শুধু তাই নয় ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ এড়াতেও মাছের তেল কার্যকর।
কোন মাছের তেল?
বিভিন্ন মাছের তেলে বিভিন্ন পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড ভিটামিন মেলে। তবে হেরিন, টুনা, ম্যাকারেল, সার্ডিন— এই ধরনের মাছে ভাল মানের তেল পাওয়া যায়।
ত্বকের উপকারিতা
১. মাছের তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড অকালবার্ধক্য রুখতে, বলিরেখা কমাতে বিশেষ সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জেল্লা ফেরাতে সহায়ক।
২. মাছের তেল সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে। এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। যা জ্বালাপোড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। সেবামের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণ কমাতেও সাহায্যে করে মাছের তেলে থাকা উপাদান।
৩ . সোরিয়াসিস-সহ বিভিন্ন ত্বকের অসুখে, সংক্রমণ প্রতিরোধেও সহায়ক মাছের তেল।
৪. ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
শুধু ত্বক নয়, চুল থেকে স্বাস্থ্য— সবই ভাল থাকে মাছের তেলের গুণে। এতে থাকা ক্যালশিয়াম এবং ডি ভিটামিন হাড় মজবুত রাখে। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভাল।
স্যামন, ম্যাকারেলে ভাল মানের তেল পাওয়া গেলেও, ভারতে এই ধরনের মাছ চট করে পাওয়া যায় না। বদলে পমফ্রেট, কাতলা, ইলিশের মতো মাছ রাখতে পারেন ডায়েটে। সপ্তাহে দু’টি বা তিনটি মাছের তেলের ক্যাপসুলও খেতে পারেন।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। মাছের তেল শরীরে কতটা পরিমাণ প্রয়োজন সে ব্যাপারে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া দরকার।