ছবি: প্রতীকী
সারা দিন হাড়ভাঙা খাটনির পর নিজের বিছানায় পিঠ ঠেকানো মাত্রই হাই উঠতে থাকে। আবার দুপুরে ভালমন্দ খাওয়ার পরই কাজে ফেরা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কারণ, পেটভর্তি হলেই বার বার হাই উঠতে থাকে। রাতে ভাল ঘুম না হলেও সারা দিন ধরে হাই উঠতে থাকে অনেকের। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু ঘুম পাওয়া বা অত্যধিক পেট ভর্তি হয়ে যাওয়াই হাই ওঠার কারণ হতে পারে না। মিনিট পনেরোর ব্যবধানে তিন বার বা তার বেশি হাই উঠতে থাকলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
১) অনিদ্রা
এক আধটা দিন রাত জেগে গল্প করলে বা সিনেমা দেখলে পরের দিন সকাল থেকে ক্লান্ত লাগতেই পারে। ঘুমে আছন্ন হয়ে বার বার হাইও উঠতে পারে। কিন্তু ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ বা ‘ইনসমনিয়া’র মতো সমস্যা থাকলে কিন্তু নিয়মিত ঘুমে আসতে সমস্যা হয়। তাই অতিরিক্ত হাই উঠলে সাবধান থাকা উচিত।
২) ওষুধের প্রভাব
নির্দিষ্ট কোনও ওষুধের প্রভাবেও অতিরিক্ত হাই উঠতে পারে। কাশির কমানোর বা স্নায়ুর কোনও রোগের ওষুধ খেলে আচ্ছন্ন ভাব থাকে অনেকেরই।
৩) মস্তিষ্কে ক্লান্তি
মাথার অতিরিক্ত পরিশ্রম হলেও হাই ওঠা স্বাভাবিক। এ ছাড়াও পার্কিনসন্স বা স্কেলেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অত্যধিক হাই উঠতে দেখা যায়।
৪) উদ্বেগ
চিকিৎসেকরা বলছেন, অত্যধিক মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মধ্যে থাকলেও অতিরিক্ত হাই ওঠে অনেকের। কোনও বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) হার্টের সমস্যা
শরীরে অক্সিজেনের জোগান অব্যহত রাখতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত হাই উঠতে দেখা যায়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছলে হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই হার্টের সমস্যার অন্যান্য লক্ষণের পাশাপাশি যদি অতিরিক্ত হাই ওঠে তবে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।