গবেষকদের মতে ২ বছরের নীচে শিশুদের টিভি, মোবাইল ফোন দেখানোই উচিত নয়। ছবি: শাটারস্টক।
শিশুর বয়স ছ’ মাস হতে না হতেই ইদানীং মা-বাবারা তাদের মন ভোলানোর জন্য মোবাইল কিংবা টিভিতে নানা ধরনের কার্টুন চালিয়ে দিচ্ছেন। হাঁ করে খুদে তাকিয়ে থাকছে স্ক্রিনের দিকে। সময় কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সাম্প্রতিক গবেষণার মতে, ১ বছর বয়স হওয়ার আগে যত বেশি ক্ষণ শিশুরা মোবাইল, টিভি কিংবা ট্যাবের দিকে তাকিয়ে থাকবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্মৃতিশক্তি ততই হ্রাস পাবে।
জামা পেডিয়াট্রিক গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ১ বছরের কমবয়সি শিশুরা, যাঁরা ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টিভি, ফোন দেখে, ৯ বছর বয়সে গিয়ে তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়। পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে, পড়া বুঝতে, কাউকে মনে রাখার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। এই সব খুদেদের মানিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই অভ্যাসের কারণে। গবেষণা অনুযায়ী, স্ক্রিন টাইমের সঙ্গে স্মৃতিশক্তি লোপের সরাসরি সম্পর্ক না হলেও পরোক্ষ ভাবে এর প্রভাব পড়ে শিশুমনের উপর। গবেষকদের মতে ২ বছরের নীচে শিশুদের টিভি, মোবাইল ফোন দেখানো উচিতই না। ২ থেকে ৫ বছরের শিশুদের দিনে ১ ঘণ্টার বেশি ফোন দেখানো তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
৫ বছরের উপরের শিশুদেরও বাঁধাধরা সময়ে টিভি, ফোন দেখার অনুমতি দিতে হবে।
শিশুদের টিভি, ফোন দেখার অভ্যাসে বাবা-মায়েরা রাশ না টানলেই মুশকিল। ৫ বছরের উপরের শিশুদেরও বাঁধাধরা সময়ে টিভি, ফোন দেখার অনুমতি দিতে হবে। ইদানীং অনলাইনে পড়াশোনার চল বেড়েছে। তাই কতটা সময় শিশুরা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখছে, তার উপর নজর রাখুন।