বায়না করলেই শিশুর হাতে কেনা খাবার দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলের টিফিনে খুদেকে রুটি-তরকারি, স্যান্ডউইচ দিলে বাক্স খালি হয়ে বাড়ি ফিরবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু যদি পিৎজ়া অথবা বার্গার টিফিনে দেওয়া হয় তা হলে বাক্স না খুলেই বলে দেওয়া সম্ভব একটুও খাবার ফেলেনি খুদে। মুখোরোচক, ভাজাভুজি খাবার ছোটদের অত্যন্ত পছন্দের। কিন্তু এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাসে অল্প বয়স থেকেই বাড়ছে স্থূলত্বের ঝুঁকি। চিপ্স, কুকিজ, চকোলেটে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি, শর্করা, গ্লুটেন। নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি আটকানো সম্ভব নয়। তা ছাড়া শুধু তো ওজন নয়, শরীরে বাসা বাঁধে আরও অনেক রোগবালাই। খুদেকে সুস্থ রাখতে তাই প্রথমেই বাইরের খাবার খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে অভিভাবকদের। সেটা খুব সহজ কাজ নয়। তবে খুদেকে সুস্থ রাখার জন্য কয়েকটি উপায়ে এই অসাধ্যসাধন করতে হবে।
১) প্রথমেই মাসকাবারি জিনিসপত্রের সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাবার বাড়িতে আনা বন্ধ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাড়ি থেকেই শুরু করাতে হবে খুদেকে। বাড়ির তৈরি খাবারে ইচ্ছা গড়ে তুলতে পারলেই সন্তানকে সুস্থ রাখা অনেকটাই সহজ হবে।
২) বায়না করলেই সঙ্গে সঙ্গে কেনা খাবার খুদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। ফল, ড্রাই ফ্রুটসের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও যে পেট ভরবে সেটা বোঝাতে হবে সন্তানকে।
বায়না করলেই সঙ্গে সঙ্গে কেনা খাবার খুদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ঘরোয়া খাবারের স্বাদ কী ভাবে খুদের মনের মতো করে তোলা যায় সে দিকে জোর দিন। খাবার সুস্বাদু হলে সব্জিও হাসিমুখে খেয়ে নেবে। তা ছাড়া একটু মাথা খাটালে সব্জি, ফল দিয়েও নানা মজাদার খাবার বানানো যায়।