কটার মধ্যে প্রাতরাশ করলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমবে? ছবি-প্রতীকী
ওজন ঝরাবেন বলে প্রাতরাশ বাদ দিচ্ছেন? কিংবা সকালে উঠলেও গড়িমসি করে জলখাবার খেতে দেরি করে ফেলছেন? সাবধান! থাবা বসাতে পারে ডায়াবিটিস। এমনিতেই যাঁরা একটু সকালে ঘুম থেকে উঠে সময়ে প্রাতরাশ সারেন, তাঁদের শরীর-স্বাস্থ্যের উপর রোগের প্রকোপ অনেকটাই কম পড়ে। কিন্তু দেরিতে ওঠা বা দেরি করে প্রাতরাশ করা ডেকে আনতে পারে বিপদ।
একটি গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, সকাল সকাল প্রাতরাশ সারলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনকি, এই অভ্যাস টাইপ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমায়।
সকাল সকাল প্রাতরাশ সারলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছবি- প্রতীকী
শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, দিনের মধ্যে খাওয়ার সময়টি যাঁরা মাত্র ১০ ঘণ্টা বা তার কম সময়ে বেঁধে ফেলেছেন (সকাল ৮ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খাওয়া/ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাওয়া) এবং বাকি সময়ে কোনও খাবার খান না, তাঁদের রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কাজেই তাঁদের টাইপ টু ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রায় ১০ হাজার পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির উপর সমীক্ষাটি করা হয়। তাঁদের গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, যাঁরা সকালে সাড়ে ৮টার আগে প্রাতরাশ সারেন, অন্যদের তুলনায় তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রাও কম থাকে।
ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে কী করবেন?
সকাল সাড়ে ৮টার আগে প্রাতরাশ সেরে ফেললে মিলবে অনেক উপকার। ইনসুলিনের মাত্রাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। কাজেই শরীর সুস্থ রাখতে প্রাতরাশে কী খাচ্ছেন, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন তা-ও ভীষণ জরুরি। পুষ্টিবিদরা সাধারণত ভারী প্রাতরাশ করার পরমার্শ দেন। ডায়াবিটিসের ঝুঁকি এড়াতে সুজি, ডালিয়া, ওটস জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। ডিমও রাখতে পারেন সকালের খাদ্যতালিকায়।