কোন উপসর্গ হতে পারে ডায়াবিটিসের লক্ষণ? ছবি: সংগৃহীত।
ক্রমবর্ধমান ডায়াবিটিস নিয়ে ক্রমশই চিন্তা বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ওজন বৃদ্ধি-সহ নানা কারণে কম বয়সেও হচ্ছে এই রোগ। অনেক সময় ডায়াবিটিস হয়েছে বুঝতেও সময় লেগে যায়। কী ভাবে সতর্ক হবেন? কী ভাবে বুঝবেন রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত, বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে।
ক্লান্তি ও ওজন কমে যাওয়া
আচমকা ওজন কমে যাওয়া, কোনও কারণ ছাড়া ক্লান্তি হতে পারে ডায়াবিটিসের উপসর্গ। ওজন কমে যাওয়ার নানা কারণ হতে পারে। তবে তার মধ্যে একটা কারণ এটাও হতে পারে। কারও স্বাস্থ্য ভাল, ডায়েটও করেন না। অথচ দেখলেন কয়েক মাসে কয়েক কেজি ওজন কমে গেল। তখনই সতর্ক হতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে এ বিষয়ে নিঃসংশয় হওয়া দরকার।
পিসিওএস
পলিসিস্টিক ওভারি হলে মহিলাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামে পুরুষালি হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। তার জেরে শরীর ও মনে প্রভাব পড়ে। হরমোনের তারতম্যে ওজন বৃদ্ধি, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ব্রণ, হতাশার মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। হরমোনের তারতম্যের প্রভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ডায়াবিটিস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাই পিসিওএস হলে রক্তে শর্করার মাত্রার দিকটাও প্রয়োজনে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।
তেষ্টা ও খিদে বেড়ে যাওয়া
আচমকা জল তেষ্টা ও খিদে বেড়ে গেলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ঘন ঘন জল তেষ্টা ও প্রস্রাবের কারণ হতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া। সাধারণত ডায়াবেটিক রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দেখা যায়।
মূত্রনালিতে সংক্রমণ
মূত্রনালিতে সংক্রমণ মহিলাদের সাধারণ একটি সমস্যা। তবে এর নানা কারণের মধ্যে অন্যতম রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়াও হতে পারে। বিশেষত ডায়াবিটিস হলে এই ধরনের সমস্যা ঘন ঘন হতে থাকে। তাই যদি বার বার মূত্র নালিতে সংক্রমণ হয়, রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।
এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। এই ধরনের উপসর্গ শুধু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লেই হয় না, আরও নানা কারণে হতে পারে। এই ধরনের উপসর্গের সম্ভাব্য কারণের মধ্যে একটি হতে পারে ডায়াবিটিস। তবে যে কোনও রকম সমস্যা হলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।