কী খেলে জব্দ হবে কোলেস্টেরল? ছবি: শাটারস্টক।
অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার অভাবের জেরে বেশির ভাগ ঘরেই এখন হার্টের রোগী আছেন। উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল— এ সব যেন মানুষের নিত্যসঙ্গী। এক বার ওষুধ খাওয়া শুরু করলে আর রেহাই নেই। তাই প্রথম থেকেই ওষুধনির্ভর জীবন বেছে না নিয়ে, ডায়েটে কিছু পরিবর্তন এনে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই কোলেস্টেরলকে জব্দ করুন।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজের ডায়েট থেকে অতিরিক্ত চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, চিনি বাদ দিতে হবে। প্রতি দিন রান্নায় বেশি তেল ব্যবহার করা যাবে না। আর এমন খাবারই খান, যাতে ওজন না বাড়ে। ওজন যথাযথ থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশি করে শাকসব্জি ডায়েটে রাখলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। উদ্ভিজ খাবারে দ্রবণীয় ফাইবার বেশি মাত্রায় থাকে। দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল ও লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ওটমিল, আপেল, মটরশুটির মতো খাবার দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভাল উৎস। তা শরীরকে কোলেস্টেরল শোষণ করতে বাধা দেয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ গ্রাম ফাইবার ডায়েটে রাখলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের আশঙ্কা দূর করা যায়। ওটমিল ছাড়াও বার্লির আটা, তিলের বীজ, সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ, চিয়া বীজ, রসুন, পেঁয়াজ, সয়াবিন, টফু এবং সয়া দুধে ভাল মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার থাকে।
কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজের ডায়েট থেকে অতিরিক্ত চর্বি, কার্বোহাইড্রেট, চিনি বাদ দিতে হবে। ছবি:শাটারস্টক।
পুষ্টিবিদদের মতে, ঈষদুষ্ণ জলে সব রকম বীজ ভিজিয়ে সকালে খাওয়ার অভ্যাস করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সঙ্গে ডাবের জল খেতে পারেন। ডাবের জল শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ময়দার বদলে জলখাবারে বার্লির রুটি খাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে বাটিভর্তি স্যালাড খাওয়া অভ্যাস করুন।