স্তন্যদান নিয়ে প্রচলিত ধারণাগুলির সত্যাসত্য। ছবি- সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও ইউনিসেফ বলছে, সদ্যোজাত শিশুর পুষ্টির জন্য অপরিহার্য স্তন্য। কিন্তু সন্তানকে স্তন্যপান করানো নিয়ে নতুন মায়েদের মনে অনেক সময়েই অনেক প্রশ্ন থাকে। তেমনই একটি প্রশ্ন হল, নিয়মিত স্তন্যপান করালে কি নষ্ট হয়ে যায় স্তনের আকার?
বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। সন্তান প্রসবের পর প্রকৃতির নিয়মেই স্তনের আয়তন বৃদ্ধি পায়। সুডৌল হয় আকার। স্তন্যদান করানোর সময়ে স্তনের আয়তন অপেক্ষাকৃত বড় থাকে। কিন্তু স্তন্যদানের প্রয়োজন ফুরালে ধীরে ধীরে কমে আসে সেই আয়তন। এর কারণ আর কিছুই নয়, যে লিগামেন্টগুলি দ্বারা স্তন দেহের সংলগ্ন থাকে, অন্তঃসত্ত্বা থাকার সময় স্তনের ওজন বৃদ্ধির জন্য সেই লিগামেন্টগুলি কিছুটা প্রসারিত হয়। সেই কারণেই মনে হতে পারে যে সন্তান প্রসবের পর ও স্তন্যদানের কারণে অবনত হয়ে পড়ছে স্তন।
স্তন্যদান করানোর সময়ে স্তনের আয়তন অপেক্ষাকৃত বড় থাকে। ছবি- সংগৃহীত
পাশাপাশি, অনেকেই ভাবেন বৃহত্তর স্তন থেকে বেশি পরিমাণ মাতৃদুগ্ধ মেলে। কিন্তু স্তনের আয়তন নির্ভর করে স্তনে জমা ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থের উপর। আর মাতৃদুগ্ধ তৈরি হয় গ্ল্যান্ডুলার টিস্যু থেকে। কাজেই স্তনের আয়তন যেমনই হোক, শারীরিক সমস্যা না থাকলে অধিকাংশ নতুন মায়েরাই স্তন্যদান করতে পারেন।