কাকে বলে ‘মোশন সিকনেস’ ছবি: সংগৃহীত
ট্রেন-বাসে চাপলে কিংবা গাড়িতে করে পাহাড়ি রাস্তায় ওঠা-নামার সময়ে অনেকেরই এমন বমি হয়, যে তাঁদের দেখে চলমান আগ্নেয়গিরি মনে হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। বিজ্ঞানের ভাষায় বিষয়টিকে বলা হয় ‘মোশন সিকনেস’। পৃথিবীতে প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জন জীবনের কোনও না কোনও সময়ে এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। তবে মহিলা এবং ২ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবণতা বেশি। কিন্তু কেন হয় এমন?
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অনেকটাই নির্ভর করে মানুষের বিভিন্ন ইন্দ্রিয় দ্বারা গৃহীত তথ্যের উপর। যখন কোনও ব্যক্তি চলমান যানবাহনের উপর বসে থাকেন তখন চোখ, কান এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের দ্বারা প্রদত্ত তথ্যগুলির মধ্যে কিছু বৈপরীত্য দেখা যায়। এই রকম বৈপরীত্য দেখা গেলে মস্তিষ্ক বুঝতে পারে না যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন, নাকি তিনি চলমান অবস্থায় রয়েছেন। এর ফলেই মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হয় এবং গা বমি বমি লাগে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, আমাদের অন্তঃকর্ণে এক ধরনের তরল থাকে যা দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। আবার চোখে দেখা দৃশ্যও মস্তিষ্কে চলমানতা অথবা স্থিতাবস্থার সঙ্কেত পাঠায়। যখন জনৈক ব্যক্তি পাহাড়ে একটি চলমান যানের ভিতরে বসে থাকেন তখন এক দিকে দেহ স্থিতিশীল থাকে, কিন্তু অন্য দিকে বাইরের দৃশ্যপটের বদল হয়। তা দেখে চোখের মাধ্যমে মস্তিষ্ক চলমানতার সঙ্কেত পায়। আবার যখন যানটি পাহাড়ি রাস্তায় বাঁক নেয়, তখন কানের তরলের গতি গাড়ির প্রকৃত দিকের বিপরীত দিকে চলে যায়। ফলে ভুল হয়ে যায় দিক নির্দেশ। ইন্দ্রিয় দ্বারা গৃহীত সঙ্কেতগুলির এই সমন্বয়হীনতার ফলেই মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হয় ও তার ফলে বমিভাব দেখা যায়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, আমাদের অন্তঃকর্ণে এক ধরনের তরল থাকে যা দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। আবার চোখে দেখা দৃশ্যও মস্তিষ্কে চলমানতা অথবা স্থিতাবস্থার সঙ্কেত পাঠায়। যখন জনৈক ব্যক্তি পাহাড়ে একটি চলমান যানের ভিতরে বসে থাকেন তখন এক দিকে দেহ স্থিতিশীল থাকে, কিন্তু অন্য দিকে বাইরের দৃশ্যপটের বদল হয়। তা দেখে চোখের মাধ্যমে মস্তিষ্ক চলমানতার সঙ্কেত পায়। আবার যখন যানটি পাহাড়ি রাস্তায় বাঁক নেয়, তখন কানের তরলের গতি গাড়ির প্রকৃত দিকের বিপরীত দিকে চলে যায়। ফলে ভুল হয়ে যায় দিক নির্দেশ। ইন্দ্রিয় দ্বারা গৃহীত সঙ্কেতগুলির এই সমন্বয়হীনতার ফলেই মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হয় ও তার ফলে বমিভাব দেখা যায়।