মস্তিষ্ক চাঙ্গা রাখতে কাঠবাদাম খান? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে উঠে খালি পেটে কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ভিটামিন এবং নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঠবাদাম রোজের খাদ্যতালিকায় রাখেন অনেকেই। কেউ ওজন ঝরানো ডায়েটে এই বাদাম রাখেন, কেউ আবার মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে কাঠবাদাম খান। তবে কাঠবাদাম শুধু নয়, বাদামের খোসাও সমান উপকারী। অনেকেই কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়ে খান। রান্নাতেও অনেক সময়ে খোসা ছাড়ানো কাঠবাদামই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু না ফেলে কাঠবাদামের খোসাও বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন।
ত্বকের যত্নে: ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করতে পারেন কাঠবাদামের খোসা। কাঠবাদামের খোসা দিয়ে বডি স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পারেন। বাদামে খোসা, ওট্স, বেসন কফি, আর দই দিয়ে বানিয়ে ফেলুন স্ক্রাব। ত্বক কোমল হবে, বয়েসের ছাপও ঠেকিয়ে রাখা যাবে।
গাছের সার হিসাবে: গাছের পরিচর্যায় সার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন কাঠবাদামের খোসা। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং প্রোবায়োটিক উপাদানে সমৃদ্ধ কাঠবাদামের খোসা গাছের মেটাবোলাইট ও ভিটামিন ই-র পরিমাণ বৃদ্ধি করে। সার তৈরি করতে প্রথমে বাদামের খোসা ভাল করে শুকিয়ে পিষে নিন। বাদামের খোসা থেকে তৈরি গুঁড়ো গাছের গোড়ায় দিন। গাছ ভাল থাকবে।
কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়ে খান? ছবি: সংগৃহীত।
কোষ্ঠকাঠিন্যের দাওয়াই: কাঠবাদামের খোসায় ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। এই খোসা পেটে ভাল ব্যাক্টেরিয়াগুলির জন্ম দেয়। শুকনো করা বাদামের খোসা, তিসির বীজ আর মিছরি একসঙ্গে ভিজিয়ে খেয়ে নিন। পেট পরিষ্কার করতে এই দাওয়াইয়ের জুড়ি নেই।