মানসিক অবসাদ ও কিডনির অসুখের সম্পর্ক কী ছবি: সংগৃহীত
কিডনির দীর্ঘস্থায়ী অসুখ শুধু শরীর নয়, ক্ষতি করতে পারে মনেরও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির অসুখ থাকলে মানসিক উদ্বেগ, অবসাদ ও দুশ্চিন্তার মতো একাধিক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। স্নায়ুরোগ ও স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যা দেখা দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। রোগাক্রান্ত হলে রোগীর মনে অনেক রকমের দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে এই সমস্যা যদি দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয়, তবে তা বড় ধরনের মানসিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। একটি গবেষণা বলছে, দীর্ঘ দিন কিডনির অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের মধ্যে ৪৫.৭ শতাংশই মানসিক উদ্বেগজনিত সমস্যার শিকার।
২। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মানুষের তুলনায় কিডনির অসুখে ভোগা রোগীর মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেশি। আর মানসিক অবসাদ ডেকে আনে ক্ষুধামান্দ্য, অনিদ্রা ও মনোযোগের সমস্যা। সমস্যার বিষয় হল, এই সবকটি উপসর্গই আবার কিডনির সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। অর্থাৎ মানসিক অবসাদ ও কিডনির অসুখের মধ্যে এক প্রকার চক্রাকার সম্পর্ক রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
৩। অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান কিডনির অসুখের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে। তাই কিডনির সমস্যা দেখা দিলেই বন্ধ করতে হয় নেশা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, হয় তার উল্টো। রোগের আতঙ্কে অনেকেই উল্টে বেশি করে ধূমপান বা মদ্যপান করতে থাকে। যা আরও বাড়িয়ে দেয় কিডনির সমস্যা।