জিম করতে গিয়ে কেউ যদি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন, তা হলে সময় অপচয় করা একেবারেই চলবে না। প্রতীকী ছবি।
আপনি রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করছেন মানেই যে আপনি ফিট, সেই ধারণা কিন্তু ভুল। এমন হতেই পারে যে, হার্টের রোগ আপনার শরীরে চুপিসারে বাসা বেঁধেছে। ওজন ঝরাতে জিমে ভর্তি হওয়ার কথা ভাবছেন? জিমে ভর্তি হওয়ার আগে প্রশিক্ষকদের খুলে বলা দরকার যে, আপনার শারীরিক কোনও অসুস্থতা আছে কি না। ইদানীং অনেক জিমেই ভর্তির আগে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়। কোভিড-পরবর্তী সময়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই আমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। ইদানীং আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছন ১৮ থেকে ৮০ সব বয়সের মানুষ। জিম করতে গিয়েও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। মৃত্যু হচ্ছে এই কারণে।
জিমে গিয়ে কোন কোন উপসর্গ দেখলে অবহেলা করবেন না?
১) জিম করতে গিয়ে বুকে ব্যথা হলে সতর্ক হোন। সামান্য ব্যথা হলেও কিন্তু অবহেলা করবেন না। ওই ব্যথা নিয়ে জিম করলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২) জিম করার সময়ে হাঁপ ধরে। তবে যদি দেখেন অনেক বেশি শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিংবা অস্বস্তি হচ্ছে, তা হলে সতর্ক হোন।
৩) আচমকা বুক ধড়ফড়ানি শুরু হলে সাবধান।
৪) শারীরিক অস্বস্তির পাশাপাশি যদি অস্বাভাবিক ঘামেন, তা হলেও কিন্তু তা হৃদ্রোগের উপসর্গ হতে পারে।
৫) হঠাৎ ঘাড়, পিঠ কিংবা চোয়ালে ব্যথা হলেও সতর্ক হতে হবে।
আচমকা বুক ধড়ফড়ানি শুরু হলে সাবধান। প্রতীকী ছবি।
শরীরচর্চার সময়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে কী করণীয়?
বাড়িতে যদি কারও হার্টের সমস্যা থাকে, কিংবা নিজের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা বা হার্ট সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকে, তা হলে শরীরচর্চার সময়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। ভারী শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে বেশি সাবধান হতে হবে। শুরুতেই অনেক ক্ষণ ধরে ব্যায়াম করা অনুচিত। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় বাড়াতে হবে। যদি দেখেন, আগে যে ব্যায়ামগুলি করার সময়ে সহজে হাঁপাতেন না, কয়েক দিন ধরে সেগুলি করতে গিয়েই হাঁপ ধরছে, তা হলে দ্রুত চিকিৎসকরের পরামর্শ নিন।
যদি জিম করতে গিয়ে কেউ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন, তা হলে সময় অপচয় করা একেবারেই চলবে না। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর দুই থেকে তিন ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তা ছাড়া এই সময়ে ৩০০ মিলিগ্রাম অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। এই ওষুধের প্রভাবে রোগী খানিকটা আরাম পাবেন।