দাবদাহের হাত থেকে মুক্তি পেতে ঘোল, লস্যি, ছাঁচ— এ সব পানীয়ের উপরই ভরসা রেখেছেন। ছবি: সংগৃহীত।
যা গরম পড়েছে, তাতে শুধু জল খেয়ে তো সাধ মিটছে না। তাই তীব্র দাবদাহের হাত থেকে মুক্তি পেতে ঘোল, লস্যি, ছাঁচ— এ সব পানীয়ের উপরই ভরসা রেখেছেন। অনেকে আবার গরম কাল জুড়েই টক দই দিয়ে ভাত খান। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না টক দই দিয়ে বানানো ঘোল, টক দইয়ের চেয়েও বেশি সহজপাচ্য। আয়ুর্বেদও বলছে, ঘোল যে শুধু হজমে সহায়ক, তা নয়, পেটের যে কোনও সমস্যাতেই ঘোল খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, দই দিয়ে বানানো হলেও ঘোলে যে হেতু জলের পরিমাণ বেশি থাকে তাই তা আরও অনেক বেশি সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। অন্য দিকে ‘ফার্মেন্টেড’ খাবার, দই খেলে পাকস্থলীর সমস্যা বেড়ে গেলেও যেতে পারে।
আয়ুর্বেদ বলছে, ঘোল হজমে সহায়ক। ছবি: সংগৃহীত।
ঘোল খেলে কী কী উপকার হয়?
১) যদিও ঘোল এবং দই দু’টি খাবারই প্রোবায়োটিক। তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দু’টিই সমান উপকারী। তবে, ঘোলের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় হজমের সমস্যা দূর করতে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ঘোল।
২) হজম ভাল হলে তার প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর। ওজন ঝরানোর জন্য বিপাকহার উন্নত হওয়া প্রয়োজন। তাই ওজন ঝরাতে চাইলে টক দই নয়, ঘোল খাওয়ার উপর জোর দেন পুষ্টিবিদরা।
৩) দুগ্ধজাত খাবার খেলে যদি সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে টক দইও খেতে চান না অনেকে। কিন্তু ঘোল খেলে পেটের তেমন কোনও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
৪) শরীরে অম্লত্ব বেশি থাকলে কারও কারও ক্ষেত্রে টক দইও বিপত্তি সৃষ্টি করতে পারে। অথচ সেই দই দিয়ে বানানো ঘোল খেলে এমন অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়।
৫) হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও ঘোলের ভূমিকা রয়েছে। ঘোলে থাকা মিল্ক ফ্যাট গ্লোবিউল মেমব্রেন, উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে।