ইউরোপে চলছে পোষ্যদের কোভিড পরীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত
ইংল্যান্ডে পোষ্য কুকুর-বিড়ালদের লালারস পরীক্ষা করে ধরা পড়ল করোনা সংক্রমণ। এই সংক্রমণের জন্য মালিদেরই দায়ী করছেন চিকিৎসকেরা।
পোষ্যদের উপর করোনাভাইরাস প্রভাব ফেলছে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সংশয় ছিল। যদিও বিজ্ঞানীরা বারবার বলেছেন, পোষ্যদের থেকে মালিকদের এই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা খুব কম। সেই তত্ত্বে খুব একটা বদল আসছে না। কিন্তু হালের সমীক্ষায় বিপুল ভাবে উঠে আসছে তার উল্টোমুখী ঢেউয়ের কথা।
ইউরোপের কিছু দেশে পোষ্যদের লালারস পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডে ৬টি বিড়াল এবং ৭টি কুকুরের শরীরের করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই পোষ্যেদের প্রত্যেকের বাড়িতেই কারও না কারও করোনা সংক্রমণ হয়েছিল। আর সেখান থেকেই তারাও সংক্রমিত হয়েছে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।
মালিকদের থেকে পোষ্যদের করোনার ভয় আছে।
কিন্তু আক্রান্ত পোষ্যদের থেকে কি মানুষের করোনা সংক্রমণ হতে পারে? এ ক্ষেত্রেও পুরনো উত্তর থেকে সরছেন না বিজ্ঞানীরা। বলছেন, মানুষের থেকে মানুষে যে ভাবে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে, পোষ্য কুকুর বা বিড়ালের থেকে সে ভাবে ছড়াতে পারে না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, তাঁরা যেন পোষ্যদের থেকে দূরে থাকেন। একান্ত সম্ভব না হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাদের যত্ন নেন।