কোভিড নিয়ে নয়া উদ্বেগ ছবি: সংগৃহীত
কোভিড উদ্বেগ যেন কেটেও কাটছে না। দিন কয়েক আগেই চিনে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। এ বার ইজরায়েলে মিলল করোনার নতুন একটি রূপের সন্ধান। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে সে খবরের সত্যতা।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
কী এই নতুন রূপ?
ইজরায়েলের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার এই নতুন রূপটি পূর্ববর্তী বিএ১ ও বিএ২ রূপ দুটির মিশ্রণ। ইজরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে দুজনের শরীরের মিলেছে করোনার এই নতুন রূপটি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও নতুন নাম দেওয়া হয়নি এই রূপের।
উপসর্গ
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, জ্বর, মাথা ব্যথা ও মাংস পেশীর সমস্যার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কোভিডের এই নয়া রূপে। আক্রান্ত দুই রোগীর বয়সই কুড়ির কম। আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন দু’জনই।
উৎপত্তি
ঠিক কোথা থেকে এই নতুন রূপটির উৎপত্তি, সে সম্পর্কে অবশ্য খোলসা করে কিছু জানানো হয়নি ইজরায়েলের তরফে। বরং এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান ইজরায়েলের স্বাস্থ্য অধিকর্তা নাচমান অ্যাশ। ভাইরাসের নয়া রূপটির উৎপত্তি ইজরায়েলেই না দুই যাত্রী বিমানে ওঠার আগেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই মত তাঁর।
এই নয়া রূপ কতটা উদ্বেগের?
বিশেষজ্ঞদের মতে, একই ভাইরাসের দু’টি ভিন্ন রূপ যখন একই কোষের ভিতরে থাকে, তখন ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধির সময় তাদের জিনগত উপাদানের বিনিময় ও মিশ্রণ হতে পারে। ফলে তৈরি হতে পারে নতুন একটি রূপ। সম্ভবত সে ভাবেই এই রূপটি তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘যেহেতু এই রূপটি সদ্য আবিষ্কৃত, তাই এটি আদৌ কতটা বিপজ্জনক হবে, তা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে অন্যান্য কিছু রূপের প্রভাবে কোভিড প্রকোপ ফের বাড়ছে ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কিছু দেশে। বিশেষত জার্মানি, চিন কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বেশ কিছু দেশে ফের এক বার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাই অসতর্ক হওয়া চলবে না কোনও মতেই।” পাশাপাশি সুবর্ণবাবু আরও জানান, এ সময়ে আরও বেশি জোর দিতে হবে কোভিড আক্রান্ত রোগীর জিনগত পরীক্ষার উপর। যাতে নতুন কোনও রূপের দেখা মিললে দ্রুত সেই রূপ চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।