জেনে নিন ঠিক কী ভাবে মাস্ক ব্যবহার করলে সুস্থ থাকা যাবে। প্রতীকী ছবি।
মাস্ক তো সকলেরই এখন আছে। অনেক সময়ে পরেনও। কেউ বাইরে বেরোনো মাত্রই মুখে মাস্ক দেন, কেউ বা সেটি মাঝেমাঝে ব্যবহার করেন। অনেকেই বলবেন, মাস্কে ভরসা আর রাখা যাচ্ছে না। তা ব্যবহার করার পরও করোনা আক্রান্ত হতে হল। কিন্তু চিকিৎসকরা তবু মনে করাচ্ছেন, মাস্ক ছাড়া গতি নেই।
তবে কার অভিজ্ঞতায় ভরসা রাখা ঠিক? যাঁদের মাস্ক ব্যবহার করার পরও কোভিড হল, নাকি সেই চিকিৎসকদের, যাঁরা এখনও মাস্কেই জোর দিচ্ছেন?
আনন্দবাজার অনলাইনের ‘ভরসা থাকুক’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ফুসফুসের রোগের চিকিৎসক সুস্মিতা রায়চৌধুরী। সেখানেই মাস্ক ব্যবহার সংক্রান্ত কিছু ধারণা নিয়ে কথা বললেন তিনি। চিকিৎসকের বক্তব্য, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাস্কের কোনও বিকল্প হয় না।
ইচ্ছামতো মাস্ক পরলে কাজ হবে না। ঠিক ভাবে মাস্ক পরতে হবে। প্রতীকী ছবি।
তবে যে মাস্ক পরার পরও করোনা হচ্ছে? সে বিষয়ে কী মত চিকিৎসকের। তাঁর বক্তব্য, ইচ্ছামতো মাস্ক পরলে কাজ হবে না। ঠিক ভাবে মাস্ক পরতে হবে। যাতে কোনও দিক দিয়েই ভাইরাস মুখ বা নাকে ঢোকার জায়গা না পায়, তা দেখতে হবে। তার জন্য নাকের উপরে যাতে মাস্ক এঁটে বসে, সে বিষয়ে যত্ন নিতে হবে। সুস্মিতা বলেন, ‘‘কথা বলার সময়ে মাস্কটা নামিয়ে ফেললে লাভ হবে না। সকলের মাঝে মাস্ক নামিয়ে চা খেলেও লাভ হবে না।’’ পাঁচ মিনিট চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে মাস্ক নামিয়ে চা খেলেও শরীরে ঢুকে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট সুযোগ পায় করোনাভাইরাস।
কোনও বিশেষ ধরনের মাস্ক পরলে কি কাজে দিতে পারে? চিকিৎসকের বক্তব্য, তিনটি স্তর আছে, এমন যে কোনও মাস্কই যথেষ্ট কার্যকর।
তার মানে কি এন৯৫ বা সার্জিকাল মাস্ক না পরে কাপড়ের মাস্ক পরলেই চলে?
তেমনটাও নয়, মত চিকিৎসকের। সুস্মিতা জানান, মাস্ক এমন হতে হবে, যা ভেদ করে মুখ বা নাকে প্রবেশ না করতে পারে ভাইরাস। অর্থাৎ, ভাইরাসের আকারের চেয়ে ছোট হতে হবে মাস্কের ছিদ্র। কিন্তু যে কোনও কাপড়ের ছিদ্রই ভাইরাসের চেয়ে বড়। তাই কাপড় দিয়ে মাস্ক বানানো হলে তা ভেদ করে সহজেই ভাইরাস ঢুকে পড়তে পারে মুখ বা নাকে। ফলে কাপড়ের মাস্ক পরে বিশেষ লাভ হয় না।