গবেষকদের দাবি, করোনা হানা দিতে পারে চোখেও। ছবি: সংগৃহীত।
গরম পড়তেই নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। গত কয়েক দিন ধরে দেশে বাড়ছে কোভিড রোগীর সংখ্যা। বিগত দু’সপ্তাহে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার পেরিয়েছে। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবরে বাড়ছে উদ্বেগ। এটি অতিমারির নতুন কোনও স্ফীতি কি না, তা নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অনেকে। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের কারণে যে তৃতীয় ঢেউ এসেছিল দেশে, এই সংক্রমণ তারই অংশ।
সাধারণ সর্দিকাশি এবং ফ্লু, গলাব্যথা, হাঁচি, কাশি, কফ, পেশিতে ব্যথা— এই উপসর্গগুলি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অধিকাংশ রোগী। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণের নিত্যনতুন উপসর্গের কথা সামনে আসছে। এ বার গবেষকদের দাবি, করোনা হানা দিতে পারে চোখেও। এতে চোখে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে চোখ লালচে হয়ে যাচ্ছে। কনজাংটিভাইটিসের মতো এই উপসর্গকে গবেষকরা ‘পিঙ্ক আই’ বলছেন।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা করোনার ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ কিছু উপসর্গ। তবে কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা নতুন করে দেখা যাচ্ছে। শুধু চোখের সমস্যা থাকলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে বাকি একটা কিংবা দু’টি উপসর্গের সঙ্গে কনজাংটিভাইটিস থাকলে, তা সমস্যার হয়ে উঠতে পারে।
চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, চোখে নোংরা জমা, চোখ দিয়ে জল পড়া, চোখ কড়কড় করা, চোখ ও মাথায় যন্ত্রণা হওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, চোখের সামনে কালো কালো বিন্দু ভেসে বেড়ানো— কনজাংটিভাইটিসের প্রধান লক্ষণ এগুলিই।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই এই মরসুমে কনজাংটিভাইটিসে অনেকেই ভোগেন। অ্যালার্জি থেকেও অনেক সময়ে এমন হয়। শুধু এই সমস্যা থাকলে তা কোভিডের উপসর্গ কিন্তু নয়। সঙ্গে যদি জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা থাকে, তা হলেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
সাধারণ কনজাংটিভাইটিসের সমস্যা থাকলে দু’-এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। কখনও আর একটু সময় বেশি লাগে। তবে কোভিডের কারণে এই সমস্যা হলে বাকি লক্ষণগুলির চিকিৎসা হলেই এই সমস্যা সেরে যায়।