নিয়মিত কফি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে উঠে কফির কাপে চুমুক না দিলে ঘুম যেন কাটতেই চায় না। এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি সারা দিনের জন্য চাঙ্গা করে দেয় শরীর। কোনও এক মনখারাপের সন্ধ্যায় প্রিয়জনের সঙ্গে ক্যাফের এক নিভ়ৃত কোণে কফির কাপে চুমুক দিলেই খারাপ লাগা দূর হয়ে যায় সব। কফির গুণের শেষ নেই। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় কফির আরও এক নতুন গুণের কথা প্রকাশ্যে এল। ‘বিএমজে মেডিসিন’ নামক একটি মেডিক্যাল পত্রিকায় প্রকাশিত একটি তথ্য জানাচ্ছে, নিয়মিত কফি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সেই সঙ্গে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, কফি খেলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে, এটা প্রমাণিত। কফিতে থাকা ক্যাফিন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই রোজ যদি অল্প পরিমাণ ক্যাফিনও শরীরে প্রবেশ করে, তা হলেও এই রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার জন। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অর্ধেকেরই সকালে উঠে নিয়মিত কফি খাওয়ার অভ্যাস। এটা জানার পর প্রত্যেকেরই রক্ত পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু রক্তে শর্করার কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কফিতে থাকা ক্যাফিন আসলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও অনেক কমে যায়। খিদে পেলেই অনেকে মিষ্টি খেয়ে নেন। এতে আরও বিপদ। ডায়াবিটিসের সঙ্গে সঙ্গে স্থূলতার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এই দুই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে কফিতেই।
পরিসংখ্যান বলছে, আমেরিকায় দশ জনের মধ্যে এক জন ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ টাইপ ২ ডায়াবিটিসে ভুগছেন। এই ডায়াবিটিস ৪৫ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। এক কাপ কফিতে ৭০ থেকে ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। প্রতি দিন যদি ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিনও শরীরে যায়, তাতেও লাভ। তবে কফিতে আরও রাসায়নিক উপাদান থাকে। যা শরীরের জন্য খারাপ। তাই কফি খাওয়ার পরিমাণে একটু ভারসাম্য থাকা জরুরি।