বেশি ঘুম ভাল নয়? ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক রাত টানা কাজ করেছেন। ভাল ঘুম হয়নি। বিছানায় পিঠ ঠেকালেই ঘুমিয়ে পড়ছেন। রাতে সাধারণ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোন। ইদানীং ১২ ঘণ্টা ঘুমোলেও শরীরে আগের মতো তরতাজা ভাব আসছে না। শরীর এবং মন ভাল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। অনেক রোগেরই দাওয়াই ঘুম। কিন্তু সেই ঘুমের ‘ডোজ়’ যদি একটু বেশি হয়ে যায়, তা হলে কি শরীরে কোনও সমস্যা হতে পারে? লন্ডনের ‘ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশন’-এর একটি গবেষণা জানাচ্ছে, বেশি ঘুম শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমোলে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কতটুকু ঘুমোনো শরীরের পক্ষে ভাল?
চিকিৎসকেরা বলছেন, কার কতটুকু ঘুম প্রয়োজন, তা আগে থেকে হিসাব করে বলে দেওয়া যায় না। ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমোনোই যথেষ্ট। তবে প্রত্যেকের বয়স, কাজের ধরন, জীবনযাপন আলাদা। সেই অনুযায়ী ঘুমের দৈর্ঘ্যও আলাদা হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুমের কারণ কী?
কেউ কেউ ঘুমোতে ভালবাসেন। তাই ছুটির দিনে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও বিছানা ছেড়ে উঠতে চান না। আবার, পরীক্ষার আগে অনেকেই রাত জেগে পড়াশোনা করেন। তখন ঘুমে ঘাটতি হয়। মানসিক ক্লান্তি থেকেও অতিরিক্ত ঘুমোনোর প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যা ‘হাইপারসমনিয়া’ নামে পরিচিত।
বেশি ঘুমোলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
অতিরিক্ত ঘুম কী ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে?
১) দিনের বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটালে কোনও রুটিনই সঠিক ভাবে মেনে চলা যায় না। যার প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর। রক্তে শর্করার মাত্রায় হেরফের হতে পারে।
২) ঘুম কম হলে যেমন শরীরের রোগ বাসা বাঁধতে পারে, তেমন বেশি ঘুমোলেও কিন্তু একই জিনিস ঘটতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, বেশি ঘুমোলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
৩) বেশি ঘুমোলে শরীরচর্চা করার ইচ্ছে চলে যেতে পারে। কাজে একেবারেই এনার্জি পাওয়া যায় না। উদ্বেগ, অবসাদের মতো নানা ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বেশি ঘুমোলে।