Heart Disease

Heart diseases: হার্ট অ্যাটাক মানেই কি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট? দুইয়ের ফারাক ঠিক কোথায়?

হার্ট অ্যাটাক হলেই যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে, তার কোনও মানে নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণ হার্ট অ্যাটাক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২২ ১৪:২১
Share:

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য কী?

আধুনিক জীবনযাত্রার পদ্ধতি, পরিবর্তিত খাদ্যভ্যাস, নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ের অভাব শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছেন সকলে। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্‌রোগ। তবু হৃদ‌্‌রোগের বিষয় এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেই ধারণাই স্পষ্ট নয় অনেকের মধ্যে।

Advertisement

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হল এমন একটি পরিস্থিতি যখন হৃদ্‌পিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃদ্‌পিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে যান।

Advertisement

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের উপসর্গ কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের একাধিক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক অন্যতম। জন্মগত হার্টের সমস্যা বা যাঁদের হৃদ্‌যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সময়, রোগীরা হঠাৎ চেতনা হারিয়ে ফেলেন। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আগে কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যেমন বুকে হালকা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তি বোধ করা এবং মাথা ঘোরানো ইত্যাদি। তবে বেশির ভাগ মানুষই এই লক্ষণগুলিকে গুরুত্ব দেন না, যার পরিণতি হয় মারাত্মক।

প্রতীকী ছবি।

হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে তফাত কোথায়?

করোনারি ধমনীর মধ্যে যদি ব্লকেজ তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে হৃদ্‌পিণ্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদ‌্‌যন্ত্র সম্পূর্ণ ভাবে কাজ করা বন্ধ করে না, তবে তার কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। অন্য দিকে, হঠাৎ করে যদি কোনও ব্যক্তির হৃদ্‌স্পন্দন পুরোপুরি থেমে যায়, তাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। সাধারণ ভাষায় যাকে চিকিৎসকরা তাকে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকও বলে থাকেন। এর ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। নিশ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে যায় তৎক্ষণাৎ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়।

হার্ট অ্যাটাক হলেই যে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তার কোনও মানে নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাক। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অন্যান্য অবস্থার কারণেও ঘটতে পারে, যেমন কার্ডিওমায়োপ্যাথি (পেশির রোগ) এবং ইলেক্ট্রোলাইট অস্বাভাবিকতা যা হৃদ্‌পিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement