গরমে নুন-চিনির শরবত খাচ্ছেন? ছবি: সংগৃহীত।
গরমে বাড়ির বাইরে পা রাখাই দুষ্কর। পাখার তলা থেকে একটু সরে গেলেই ঘেমেনেয়ে একাকার অবস্থা। বাইরে বেরোলে তো কথাই নেই। অতিরিক্ত ঘামলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। তাই এই সময়ে বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সকলেই। রোদ থেকে তেতেপুড়ে বাড়ি এসেই নুন-চিনির শরবতে চুমুক দেন অনেকে। আবার অনেকে মনে করেন, হাতের কাছে ঘোল, ছাঁচ কিংবা লস্যি না থাকলে চট করে ক্লান্তি কাটাতে ঘরোয়া নুন-চিনির শরবত দারুণ কাজ করে।
নুন হল সোডিয়াম ক্লোরাইড। চিনির মধ্যে রয়েছে গ্লুকোজ় এবং ফ্রুক্টোজ়। এই দুই উপাদান শরীরে থেকে বেরিয়ে যাওয়া খনিজগুলির সমতা ফেরাতে পারে। চিকিৎসক রিজ়ওয়ান সাদিক আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “শারীরিক কোনও সমস্যা না থাকলে ঘরোয়া এই পানীয় খাওয়াই যায়। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিস থাকলে চিকিৎসকের পরমর্শ ছাড়া নুন-চিনির শরবত কেন, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ওআরএস), ইলেক্ট্রল— কোনওটাই খাওয়া চলে না। যতই কষ্ট হোক, সে ক্ষেত্রে শুধু জলের উপরেই ভরসা রাখতে হবে।”
রোদ থেকে তেতেপুড়ে বাড়ি এসেই নুন-চিনির শরবতে চুমুক দেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত।
ওষুধের দোকানে ইদানীং একেবারে ‘রেডিমেড’ পানীয় পাওয়া যায়। তার মধ্যে সমস্ত উপাদানের পরিমাণ নির্দিষ্ট পরিমাণে দেওয়াই থাকে। কিন্তু বাড়িতে নুন, চিনি মেশাতে গেলে সেই পরিমাণ এদিক-ওদিক হয়ে যেতেই পারে। রিজ়ওয়ানের মতে, “যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই ধরনের পানীয় খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।”