চিকিৎসকদের মতে, ঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের টিউমার বাদ দিয়ে রোগীকে আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়া যায়। ছবি: শাটারস্টক।
মানসিক চাপ, প্রবল ধকলের বা রোদে দীর্ঘ ক্ষণ থাকার কারণে মাথা ব্যথা হতেই পারে। কিন্তু মাথার যন্ত্রণার সঙ্গে যদি থাকে বমি, ভুলে যাওয়া ও আচমকা ব্ল্যাক আউটের মতো উপসর্গ, তবে সতর্ক হতে হবে বইকি। এ সব মস্তিষ্কের টিউমারের উপসর্গ হতেই পারে। ব্রেন টিউমার শব্দটি কানে এলেই আতঙ্ক দানা বাঁধে মনে। অথচ উপযুক্ত চিকিৎসার সাহায্য নিয়ে ব্রেন টিউমারের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন নয়। টিউমার যদি ক্যানসার-যুক্ত হয়, তা হলে সেটা চিন্তার বিষয়। চিকিৎসকদের মতে, ঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের টিউমার বাদ দিয়ে রোগীকে আবার স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়া যায়। তার জন্য সঠিক সময় উপসর্গগুলিকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
কী কী লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?
১) ব্রেন টিউমারের অন্যতম উপসর্গ হল মাথার যন্ত্রণা। টিউমারের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথার ধরনটা অন্য রকম হয়। এ ক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়।
২) জ্বর ছাড়াই শরীরে কাঁপুনি শুরু হতে পারে। কিছু ক্ষণ পর আপনা থেকেই কমে যায়। মাথাব্যথার সঙ্গে সারা ক্ষণ বমি বমি ভাব হয়।
৩) সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনার কথা বেমালুম ভুলে যাওয়া।
মস্তিষ্কের কোন অংশে টিউমার হয়েছে, তার উপরেও কিছু উপসর্গ নির্ভর করে। ছবি: শাটারস্টক।
৪) সারা দিন ঝিমুনি ভাব থাকে। ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ভারী হয়ে থাকে। কাজ করতে আলস্য আসে।
৪) মস্তিষ্কের কোন অংশে টিউমার হয়েছে, তার উপরেও কিছু উপসর্গ নির্ভর করে। সেরিব্রামের টেম্পোরাল লোবে টিউমার হলে দেখতে অসুবিধা হয়।
৫) হাত-পা নাড়াচাড়া করতে সমস্যা হয়। হাঁটাচলার সময়ে ভারসাম্য থাকে না।
৬) যা ভাবছেন আর যা বলছেন, তার মধ্যে সাযুজ্য থাকে না।
৭) হাত দিয়ে কোনও জিনিস শক্ত করে ধরতেও সমস্যা হয়। হাতে জোর কমে যায়।
৮) ঢোক গিলতে ও খাবার খেতে অসুবিধা হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে গন্ধের বোধ চলে যায়। মূলত পঞ্চইন্দ্রিয়ের কাজেই সমস্যা দেখা যায়।