নার্গিস চাঙ্গা থাকতে লোহালক্কড় টানতেই পছন্দ করেন। ছবি: সংগৃহীত।
বেশ অনেক দিন হল বড় পর্দায় দেখা যাচ্ছে না বলিউড অভিনেত্রী নার্গিস ফকরিকে। আপাতত কোনও ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলেও শোনা যাচ্ছে না। তবে পর্দায় না থাকলেও বরাবরই শিরোনামে থেকেছেন ছিপছিপে চেহারার নার্গিস। পর্দায় তাঁর প্রাণোচ্ছল অভিনয় যেমন মন কেড়েছে দর্শকের, তেমন নার্গিসের ফিটনেস-রুটিনের প্রেমেও পড়েছেন অনেকে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, নার্গিস একেবারেই শরীরচর্চা করতে পছন্দ করতেন না। জিমে যাওয়ার কথা ভাবলে রীতিমতো কান্না পেত। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভিনেত্রী নিজেই লিখেছেন সে কথা। তবে ছবিটা বদলেছে। এখন সব কিছু ছেড়ে শরীরচর্চাতেই মন দিয়েছেন তিনি।
করিনা কপূর থেকে মালাইকা সিংহ অরোরা— বলিপাড়ার অনেক অভিনেত্রী নিয়মিত যোগাসন করেন। নিজেদের ফিট রাখতে ভরসা রাখেন ব্যায়ামেই। তবে নার্গিস সেই পথে হাঁটেননি। তিনি বরং চাঙ্গা থাকতে লোহালক্কড় টানতেই পছন্দ করেন। তবে একটু অন্য ভাবে, ভালবেসে। জিমের সব যন্ত্র তিনি ব্যবহারও করেন না। জিমে গিয়ে কী কী ব্যায়াম করেন নায়িকা?
ডাম্বেল তোলা
জিমে গিয়েই ডাম্বেল তোলা দিয়ে শরীরচর্চার সূচনা করেন। এতে শুধু কাঁধ নয়, পিঠ এবং বাহুর পেশিও শক্তিশালী হয়। কাঁধ চওড়া হয়। শরীরের উপরের অংশের বাড়তি মেদ ঝরাতে দারুণ উপকারী। নার্গিসও তাই ভরসা রাখেন ডাম্বেলে।
সাইক্লিং
সাইকেল চালাতে বরাবরই ভালবাসেন নার্গিস। তাই জিমে গিয়ে ডাম্বেল তোলার পরেই গিয়ে বসেন সাইকেলে। তিনি জানিয়েছেন, জিমের অধিকাংশ সময়ে সাইকেলে বসে প্যাডেল করতে করতেই কেটে যায়। এতে অবশ্য পায়ের মেদ ঝরে যায়। থাইয়ের অংশে সবচেয়ে বেশি মেদ জমে। সাইক্লিং করলে সে মেদ কয়েক দিনেই চলে যায়।
ট্রেডমিল
এমনিতে হাঁটতে খুব একটা পছন্দ করেন না নার্গিস। তবে ট্রেডমিল হলে বিষয়টি আলাদা। একবারে কত হাজার পা হেঁটে ফেলেন তিনি, হিসাব থাকে না। ট্রেডমিলে হাঁটার বহু উপকারিতা রয়েছে। বাড়তি ক্যালোরি পুড়ে যায়। শরীরে একটা গতি আসে। সারা ক্ষণ চনমনে ভাব বজায় থাকে। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতেও ট্রেডমিলে হাঁটা ভাল।